সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) করে আত্মঘাতী (Suicide) বিজেপি (Bjp) কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায়। হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভা তিন নম্বর ওয়ার্ড কেওটা মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা অভিষেক চৌধুরী এদিন ভোর রাতে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। জানা গিয়েছে যে, তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে বিজেপি কর্মী অভিযোগ করেন তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। যে কুণাল সরকারের নামে অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে পরে। অভিযুক্ত স্থানীয় আমরা কজন ক্লাবের সম্পাদক। এদিকে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
কী অভিযোগ ছিল মৃতের?
মৃত বিজেপি কর্মী আরও অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছে তাঁর পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এদিকে এই লাইভ ভিডিও দেখতে পেয়েই অভিষেকের বন্ধুরা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। অভিষেকের পরিবার তখনো জানতো না কি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এরপর দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ক্লাব সম্পাদক অভিযুক্ত কুণাল সরকার কিছু বলতে চাননি। তবে ওই ক্লাবের সদস্য পঙ্কজ দাস বলেন, ''কুণাল অত্যন্ত ভাল ছেলে আর এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে সে যুক্ত নয়। ঠিক কী হয়েছিল, অভিষেক যে অভিযোগ করছে তা আমরা জানিনা। আমাদের ক্লাবের সঙ্গে ওর দাদা যুক্ত।''
বিজেপির প্রতিক্রিয়া
বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ''অভিষেক হুগলি মন্ডলের দীর্ঘদিনের পুরনো কর্মী ছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি ওকে কয়েক দিন ধরে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। আমরা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন করব ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।''
ফেসবুক লাইভে অভিষেক চুঁচুড়ার বিধায়কের কাছেও বিচার চেয়েছেন। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ''বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম যেকোনো দল করা গণতান্ত্রিক অধিকার। কেউ বিজেপি করলে তাঁকে যদি কেউ হুমকি দিয়ে থাকে তা খুবই লজ্জাজনক। এমন ঘটা উচিত নয়। যে কোন দলের কোনও মানুষ যদি আমার সাহায্য চেয়েছে আমি তার পাশে দাঁড়ায়নি এমনটা হয়নি। দল আমার তৃণমূল, কিন্তু আমিত বিধায়ক সবার। যদি কেউ হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে উচিত ছিল থানায় অভিযোগ করা। থানায় অভিযোগ হয়েছিল কিনা আমি জানিনা। আর আমি বিধায়ক হিসেবেও আমার কাছে কেউ এসে এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। আমি ওঁর পরিবারের পাশে আছি।'' এদিকে ধৃত কুণাল সরকারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু হয়েছে।