শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহারে ভাল ফল করেছে তৃণমূল। এবার লোকসভা ভোটকে (Loksabha Election) মাথায় রেখে, শহর থেকে গ্রাম, বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগের কর্মসূচি নিল তৃণমূল (TMC)। পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের পদাধিকারীর সকাল সকাল ঘুরবেন নিজের এলাকায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে শুনবেন অভাব-অভিযোগ। জনসংযোগে বেরোবেন জেলা সভাপতিও। শহর থেকে গ্রাম, লোকসভা ভোটের আগে ভোটারদের মন জয় করতে নতুন কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির কটাক্ষ, পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাইবেন শাসকদলের নেতারা।


একুশের বিধানসভা ভোটের ধাক্কা সামলে এবার পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহার জেলায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল।১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০৫টিই দখল করেছে তৃণমূল। ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে বিজেপি।১২টি পঞ্চায়েত সমিতিই তৃণমূলের দখলে। এছাড়া, জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে ৩২টি পেয়েছে তৃণমূল। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে লোকসভা ভোটের আগে নতুন কৌশল নিল শাসকদল। পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের পদাধিকারীরা এবার থেকে ঘুরবেন নিজের এলাকায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে শুনবেন অভাব-অভিযোগ। কোচবিহারের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “গ্রামের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সঙ্গে কী সমস্যা জেনে নিয়ে তা মেটানোর জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়ার নিতে হবে।’’

লোকসভা ভোটের প্রচার-কৌশল নিয়েশাসকদলকে নিশানা করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পা্দক বিরাজ বসু বলেন, “হার্মাদদের দিয়ে কীভাবে অঞ্চলগুলো দখল করেছে সারা বাংলা জানে। আমার মনে হয় ওরা ক্ষমা চাইতে যাচ্ছে।এতে চিঁড়ে ভিজবে না।’’যদিও গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “সারাবছর ধরে জনপ্রতিনিধিরা নিবিড় জনসংযোগ করবে। বিরোধীরা কী বলল সেটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা।’’ লক্ষ্য চব্বিশের লোকসভা ভোট। তার আগে কোচবিহারে সর্বশক্তি নিয়ে প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল।


অন্যদিকে তৃণমূলের দখলে থাকা সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে আসরে নামল বিজেপি। ৬দিন কোচবিহারে থেকে সংখ্যালঘু মোর্চা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জনসংযোগে জোর দিলেন ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য। বিজেপি সব জায়গায় ভাগাভাগির রাজনীতি করে, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য মাফুজা খাতুন বলেন, 'তৃণমূল তো বিজেপিকে অ্য়ান্টি মুসলমান বলে প্রচার করছে। ওরা সংখ্যালঘু ভয় দেখিয়ে নিজেদের দিকে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, বিজেপি কখনওই সংখ্যালঘু বিরোধী নয়। মোদি বলেচেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ। মুসলিমরা সেই তিমিরেই আছে। মাদ্রাসা নিয়োগ বন্ধ। কেন্দ্রের প্রকল্পের পয়সা খেয়ে নিচ্ছে। আমরা বোঝাতে পারছি।' 


আরও পড়ুন: North 24 Parganas: শ্রমিককে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ায় প্রতিবাদ, কাজ বন্ধ ভাটপাড়ার জুটমিলে