রুমা পাল,কলকাতা: খুব শিগগিরই কলকাতায় চালু হতে চলেছে নতুন সুবিধা। পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নাঘরেই পৌঁছে যাবে গ্যাস (Cooking Gas Pipeline)। বাইপাস লাগোয়া রুবি থেকে উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউন, একাধিক জায়গায় দ্রুত গতিতে চলছে তার কাজ। 


 শীঘ্রই পাইপলাইনে রান্নার গ্যাস


দেশের বাকি মেট্রো শহরগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে, এবার কলকাতাতেও (Kolkata News) রান্নার গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে গেরস্থের রান্নাঘরে। সেই কর্মযজ্ঞ চলছে জোরকদমে। এই মুহূর্তে  নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া ২ থেকে রান্নার গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। সেই পাইপলাইন পৌঁছে যাবে সরাসরি হেঁশেলে। চলতি মাসেই কলকাতার একটি আবাসনে এই পাইপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর সময় নিউটাউনের বেশ কিছু আবাসনে শুরু হয়ে যাবে। কিচেনে থাকবে পাইপলাইন। বসানো থাকবে মিটার।


বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড-এর মার্কেটিং ও কমার্শিয়াল বিভাগের প্রধান পঙ্কজ কুমার বিশ্বাস বলেন, "আমরা মে মাসের শেষে অথবা জুনের শুরুতে রুবির আরবানাতে পাইপলাইনের শুরু করছি। সব পরিকাঠামো রেডি। একটু দেরি হয়েছে। একটা ছাড়পত্র বাকি রয়েছে।"


আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: 'রাজভবনকে কলুষিত করলেন ধনকড়,' রাজ্যপাল সমীপে বিজেপি-র দরবার নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের


পঙ্কজ কুমার আরও বলেন, "পাইপ লাইন মারফত পাওয়া গ্যাসের দাম এলপিজি-র (LPG Price Hike) তুলনায় কম। অনেক সেফ। খরচ কম বলে সাশ্রয়। ২০-২৫ শতাংশ এলপিজি-র তুলনায় খরচ কম।" 


এখানে উল্লেখ্য, উদ্বেগ বাড়িয়ে কলকাতায় ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকার গণ্ডি ছাড়িয়েছে (Cooking Gas Price) ইতিমধ্যেই। গ্যাসের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি (LPG Subsidy) নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিতে শোনা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথা বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar)।


শনিবার শহর কলকাতায় ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের প্রতি ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২৬ টাকা। তাতে হেঁশেলে পা রাখাই এখন কার্যত দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঙালি মধ্যবিত্তের। সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে দিলীপ বলেন, ‘‘সারা দুনিয়ায় দাম বাড়ছে। পেট্রোলিয়াম যে কোনও পদার্থ, গ্যাস, তেল, যুদ্ধের প্রভাবে দাম বাড়ছে। অন্য দেশে অনেক বেশি দাম বেড়েছে। আমাদের সরকার তবু অনেকটা আটকে রেখেছে। তা-ও কিছু কিছু দাম বাড়ছে। গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে, যার আঁচ পড়ছে এখানেও। আমাদের কিছুটা সহ্য করতে হবে।"


রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার অগ্নিমূল্য


দিলীপের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ। তাঁর কথায়, ‘‘দিলীপবাবু কোথায়, কী বলেন, তার ঠিকানা রাখা মুশকিল। কিছু দিন আগে বলেলন, সরকার পেট্রোপন্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না। আজ বলছেন, সরকার অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। অন্য দেশে কী দাম, তার খবর রাখেন দিলীপবাবু! তাহলে অন্য দেশে দাম সর্বনিম্ন থাকার সময় ভারতে পেট্রোলের দাম লিটারে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল কেন? এ সবের উত্তর নেই ওঁদের কাছে।’’


২০১৪-র পর ২০২২, আট বছর পর ফের শহরে হাজারের গণ্ডি পেরোল এলপিজি-র দাম। যদিও সেইসময় ভর্তুকির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কম পড়েছিল। এবারে ভর্তুকির পরিমাণ কম হওয়ায় চাপ অনেক বেশি বাড়ল।