কলকাতা : ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশোবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, জানাল রেল। বালেশ্বরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) । দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


মুখ্যমন্ত্রীর কী কী পরিকল্পনা 


ট্রেন দুর্ঘটনার পর সোরো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এ রাজ্যের বহু মানুষ। আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর, দুর্ঘটনাস্থলেও যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। পরিদর্শন সেরে আজই হেলিকপ্টারে কলকাতায় ফিরবেন তিনি। 


ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ঘটনাস্থলে গিয়ে আাধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। 


মুখ্যমন্ত্রীর ঝটিতি পদক্ষেপ


শুক্রবারই ঘটনাটি  নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।  তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, 'শালিমার-করমন্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় আশঙ্কিত। বাংলা থেকে বহু যাত্রী রয়েছেন ওই ট্রেনে। আমাদের রাজ্যের বেশ কিছু বাসিন্দা জখম হয়েছেন। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি।'


আপৎকালীন কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।  033- 22143526/ 22535185-এই দুটি নম্বর চালু করা হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, 'আমরা ৫-৬ জনের একটি টিম পাঠাচ্ছি ঘটনাস্থলে। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে এবং রেলের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য। ঘটনার উপর আমি ব্যক্তিগত ভাবে নজর রাখছি।' 


ওড়িশার বালেশ্বর এখন যেন মৃত্যুপুরী


 শুক্রবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ি শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়াগামী যশোবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছ’শো। মৃত ও আহতর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। সকালে ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। 


উদ্ধারকাজে নেমেছে বায়ুসেনা, এনডিআরএফের ৯টি টিম। হেলিকপ্টারের সাহায্যে চলছে উদ্ধারকাজ। ট্রেনের দরজা ভেঙে, গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ড্রোন উড়িয়ে, স্নিফার ডগ এনে চলছে তল্লাশি। উদ্ধারকাজ জোরদার করতে মালদা ডিভিশনের ২২৪ জন আরপিএফ জওয়ানকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ৩টি ট্রেনের সংঘর্ষে লাইনচ্যুত হয় করমণ্ডলের ১৫টি ও হাওড়া-যশোবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসের ৩-৪টি কামরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের কামরায় এখনও অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন।ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। অক্ষত কামরাগুলিতেও স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে এনডিআরএফ। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ওড়িশা পুলিশের ফরেন্সিক দল। রাজ্য সরকারের তরফে রাতে দুর্ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও সাংসদ দোলা সেন।