পার্থ প্রতিম ঘোষ, ওড়িশা: চারিদিকে মৃতদেহের সারি। অনেকের পরিচয় জানা গিয়েছে। অনেকে এখনও অজ্ঞাত। ১৩০, ১৩১, ১৩২ মৃতদেহে লাগানো হচ্ছে নম্বর। রূঢ় বাস্তবের সাক্ষী ওড়িশার বাহানাগা স্কুল। সেই ছবি ধরা পড়েছে এবিপি আনন্দর ক্যামেরায়।                 

  


রূঢ় বাস্তবের সাক্ষী: মালগাড়ির ওপর করমণ্ডলের ইঞ্জিন। এক ট্রেনের মাথায় অন্য ট্রেনের ইঞ্জিন। মৃত্যুনগরী বালেশ্বর। বীভৎস, ভয়াবহ... বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর রূপ বোঝাতে যে কোনও বিশেষণই যেন কম পড়বে। চতুর্দিকে স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। আহতদের চোখে মুখে স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ। ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। লাফিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। কারোর পরিচয় জানা গিয়েছে। কারোর নয়। এখনও নিখোঁজ বহু। মৃতদেহগুলির ঠাঁই হয়েছে ওড়িশার বাহানাগা স্কুলে। সেখানেও প্রিয়জনের খোঁজ পেতে ভিড় করেছেন পরিবারের সদস্যরা।                    


বড় একটা হল ঘর। এখানেই অন্য দিন কচিকাঁচাদের কোলাহলে মুখরিত হয়। সেখানেই আজ অন্য ছবি। সাদা কাপড়ে মোড়া একের পর এক দেহ। তার উপরও রক্তের ছাপ স্পষ্ট। কেউ যাচ্ছিলেন চিকিৎসা করাতে। কেউ বা যাচ্ছিলেন প্রিয়জনের কাছে। হঠাৎ একটা ঝাঁকুনি... ব্যাস তারপরই সব শেষ। বদলে জীবনের চেনা ছবিটা। ওড়িশার বাহানাগা স্কুল সকাল থেকেই ভিড় মৃতদের প্রিয়জনদের। চোখে মুখে আতঙ্ক তাঁদের। কারোর ছেলে ছিল ওই ট্রেনে। কারোর আবার স্বামী। কীভাবে খোঁজ পাবেন? প্রশাসনের তরফে মৃতদেহে লাগানো হচ্ছে নম্বর। সংশ্লিষ্টদের কাছে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন পরিজনরা। আশঙ্কা সত্যি করে কাপড় সরাতেই দেখা যাচ্ছে প্রিয়জনের সেই মুখ। কারোর পরিচয় এখনও যায়নি জানা। রূঢ় বাস্তবের সাক্ষী ওড়িশার বাহানাগা স্কুল।                        


ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তিনটি ট্রেন, তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য। এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরা থেকে বের করা হচ্ছে দেহ। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ। গ্যাসকাটার দিয়ে ট্রেনের বগি কেটে চলছে উদ্ধারকাজ।


আরও পড়ুন: Skin Care Tips: জিমে গিয়ে শরীরচর্চার পাশাপাশি খেয়াল রাখুন ত্বকেরও, কোন কোন বিষয় নজরে রাখবেন?