কলকাতা : চিন সহ একাধিক দেশে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। মাস্ক, দূরত্ববিধি সহ একাধিক করোনা বিধি ফেরানো ও সতর্কতা অবলম্বনের পথ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্র-রাজ্য। এরমাঝেই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আবেদন, বুস্টার ডোজ (Corona Booster Dose) নেওয়ার ক্ষেত্রে। এর মাঝেই ভারত বায়োটেকের নেজাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) ইনকোভ্যাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।


অর্থাৎ ছুঁচ ফোটানোর ঝক্কি এড়িয়ে নাকে স্প্রে করেই নেওয়া যাবে করোনার ভ্যাকসিন। বুস্টার ডোজ হিসেবে ছুঁচ ফোটানোর ঝক্কি কমার জেরে কি বাড়বে ভ্যাকসিন নেওয়ার ইচ্ছা ? নেজাল ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা, তেমনই তা দেওয়াও তুলনামূলক সহজ বলেই চিকিৎসা মহলের একাংশের দাবি।


পাশাপাশি তুলনামূলর কম ঠান্ডায় রাখতে হওয়ায় ভারতের মত বড় দেশে বেশি সংখ্যক মানুষকে নেজাল ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া সম্ভব বলেই আশাবাদী চিকিৎসকদের একাংশ। তবে রয়েছে শঙ্কাও। চিকিৎসকদের অপর এক অংশ মনে করছে খাতায়-কলমে ভ্যাকসিন দেওয়া-নেওয়াটা সহজ হলেও কার্যকরী ক্ষেত্রে কিন্তু বেশ কিছু সমস্যার মুখেই পড়তে হতে পারে।


চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'এই ভ্যাকসিনের কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। নাক দিতে নিতে হওয়ায় ইনঞ্জেকশন ফোটানোর দরকার নেই। তাই দেওয়া সোজা। সঙ্গে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে ভ্যাকসিনটিকে স্টোর করা হয়, তাই স্টোর করাও সোজা। তাই দিতে সুবিধা ও স্টোর করতে সুবিধা যে ভ্যাকসিনে, সেটা ভারতের মতো দেশে দেওয়া অনেক সহজ হবে। '


চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ যেমন বলেছেন, 'নেজাল ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই মানুষ ভ্যাকসিনটা ঠিকমতো নিতে পারেন না। ইনফ্লুয়েঞ্জার নেজাল ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছিল কারোর ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে, কেউ হাঁচি দিয়ে বের করে দিচ্ছেন। খাতায়-কলমে যেখান দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা সেখানেই প্রোটেকশন দিতে পারছি, যেটা ভাল, কিন্তু বাস্তবে নেজাল ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে অসুবিধার মধ্যেই পড়তে হয়েছে।'


প্রসঙ্গত, চার সপ্তাহের ব্যবধানে নেজাল ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে হয়। প্রতি ডোজে ভ্যাকসিনের ৮ টি ড্রপ তথা ৫ মিলিগ্রাম করে নিতে হয়। দুই নাকে তাই চারটি করে ড্রপ দেওয়ারই নিয়ম নেজাল ভ্যাকসিনে। আপাতত ছাড় পাওয়া ইনকোভ্যাক (Incovac) ভ্যাকসিন বুস্টার হিসেবে নিতে পারবেন কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন গ্রহীতারাও। আপাতত বেসরকারি হাসপাতালে মিলবে ন্যাজাল ভ্যাকসিন ইনকোভ্যাক।



আরও পড়ুন- চিনে আন্দোলন থামাতেই রটানো হচ্ছে করোনার খবর? আশঙ্কা প্রকাশ চিকিৎসকদের!