ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: ফের বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র। পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ, চিকিত্সা, টিকাকরণ ও বিধি মানার উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।
শুধু এক দিনেই দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ পেরিয়েছে। ১৪ মাস পর চিনে ফের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এক সপ্তাহে বিশ্বে ৮ শতাংশ বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। উদ্বেগ বাড়িয়ে ইজরায়েলে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট BA.2-র খোঁজ মিলেছে।
বিশ্বের নানা প্রান্তে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সংক্রমণের, নতুন ঢেউ আসার আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, ভিয়েতনাম, তাইওয়ানের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাশাপাশি, হু করে সংক্রমণ বাড়ছে ইউরোপেও।
এরই মধ্যে দেশজুড়ে দোল ও হোলি উৎসব হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব দূরের কথা, বিধি উড়িয়ে চলেছে উৎসব পালন, এই ঢিলেঢালাভাবে দেখে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই দেশে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন। নতুন করে করোনার এই চোখরাঙানি নিয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। চিঠিতে জোর দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা, অনুসন্ধান, চিকিত্সা, টিকাকরণ ও কোভিড বিধি পালনে।
ভাইরাসের নতুন চরিত্র বুঝতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ বৃদ্ধি ও পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়াতে বলা হয়েছে। পাঁচটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। নমুনার সংখ্যা বৃদ্ধি ও পরীক্ষার গতি বাড়াতে বলা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, "করোনা বহাল তবিয়তে আছে। লুকিয়ে আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ দেওয়া ছাড়া আর গত্যান্তর নেই। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে নতুন প্রজাতি এল কি না দেখতে হবে। নজরদারি বাড়ানো জরুরি।"
কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ ও ষাটোর্ধ্বদের প্রিকশন ডোজ দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ রক্তিম গুহ বলেন, চিন, কোরিয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশন বাড়ানো জরুরি, কোভিড বিধি মেনে চলা প্রয়োজন। গত মাসে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পরিসংখ্যান দেন, ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ডোজ পাননি বাংলার ১৫ লক্ষ ৬ হাজার ৪৭৪ জন। এঁরা সবাই ষাটোর্ধ্ব।
এই পরিস্থিতিতে বিধি মেনে চলা এবং দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।