বেঙ্গালুরু: মাত্র ৩ দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্ট। বেঙ্গালুরু টেস্টের সেই পিচ নিয়েই আইসিসির (icc) কাছে রিপোর্ট পেশ করেছিলেন ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার তরফে এবার জানিয়ে দেওয়া হল যে দ্বিতীয় টেস্টের পিচ গড়পড়তার নীচে। শ্রীনাথ তাঁর পিচ রিপোর্টে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ''প্রথম দিন থেকেই পিচে প্রচুর টার্ন ছিল। প্রতি সেশনেই যা বাড়তে থাকে। আমার মতে এটা ব্যাট-বলের লড়াইটা সমানে-সমানে হয়নি।''


এরপরই আইসিসি পরখ করে। সেই ম্যাচের প্রথম দিনে ১৬ উইকেট পড়েছিল। এছাড়াও মাত্র তিন দিনের মাথায় শ্রীলঙ্কাকে হারতে হয়েছিল ম্যাচে। আইসিসির তরফে চিন্নাস্বামীর পিচের একটি ডিমেরিট পয়েন্ট কাটা হয়েছে। 


তিন দিনের মধ্যেই টেস্ট গুটিয়ে নিল রোহিত-বাহিনী। হোয়াইট ওয়াশ শ্রীলঙ্কাকে। ২-০ ফলাফলে সিরিজ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৮ রানে লঙ্কা-বাহিনীকে গুটিয়ে দিয়ে ২৩৮ রানে বিশাল জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। 


১৫১ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে চা বিরতির পর জুটি বাঁধেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে ও নিরোশান ডিকওয়েলা। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা ৫০ রানের জুটি গড়ে তোলেন। কিন্তু, অক্ষর পটেলের ডেলিভারিতে ৫৫ রানের এই জুটি ভেঙে যায়। ডিকওয়েলকে স্টাম্প আউট করেন ঋষভ পন্থ। এরপর উইকেটে আসেন চরিথ আসালঙ্কা। কিন্তু, তিনিও সুবিধা করে উঠতে পারেননি। শীঘ্রই পরিণত হন অক্ষর পটেলের দ্বিতীয় শিকারে। ৫ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ধরেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। শ্রীঙ্কার স্কোরবোর্ডে তখন ১৮০ রান ৬ উইকেট খুইয়ে। যদিও লড়াই জারি রাখেন অধিনায়ক করুণারত্নে। ব্যক্তিগত ভাবে সেঞ্চুরি করেন। এর পাশাপাশি লসিথ এম্বুলডনিয়াকে নিয়ে দলগতভাবে ২০০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করে ।


এরপর আক্রমণে আসেন বুমরা। ব্যক্তিগতভাবে ১০৭ রানে অধিনায়ক করুণারত্নেকে আউট করেন। ২০৪ রানে ৭ উইকেটে হারিয়ে কার্যত ভেঙে পড়ে লঙ্কাবাহিনী। পরের ওভারেই ২ রানে আউট লসিথ। এর পরের ওভারে টেল-এন্ডার সুরাঙ্গা লকমলকে ১ রানে আউট করেন বুমরা। এই ম্যাচে এটা ছিল ভারতীয় পেসারের অষ্টম উইকেট। এরপর বিশ্ব ফার্নান্ডোকে ২ রানের মাথায় আউট করেন অশ্বিন। ২০৮ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। এই ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ করেন অশ্বিন। দেশের মাটিতে এটা ছিল ভারতের তৃতীত দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ জয়।