কলকাতা: রাজ্যে টানা ৯ দিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩০-এর ওপরে। দৈনিক মৃত্যুতে কলকাতার পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হাওড়া ও বীরভূম। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের শীর্ষ পেরি গিয়েছে কলকাতা। দাবি আইআইটি মাদ্রাজের গবেষণায়।
টানা ৯ দিন রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ঘোরাফেরা করছে ৩০-এর ঘরে। রবিবার দেশে দৈনিক মৃত্যু ফের পার করেছে ৫০০-র গণ্ডি। এই অবস্থায় এদিনই প্রকাশিত হয়েছে The Indian SARS-CoV-2 Genomics Consortium বা INSACOG(ইনসাকগ)-এর সাপ্তাহিক বুলেটিন। তাতে ভারতে ওমিক্রনের তিনটি উপপ্রজাতির উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে BA.2 উপপ্রজাতিই সবচেয়ে বেশি।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, BA.2 উপপ্রজাতির জন্য ওমিক্রন নির্ধারণ সংক্রান্ত বিশেষ পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল আসতে পারে। একই সঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, BA.2 উপপ্রজাতিতে অধিকাংশ সংক্রমিত উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ হলেও, হাসপাতাল বা ICU-তে ভর্তির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
এই প্রেক্ষাপটে আরও একটা বিশেষ প্রজাতির ওপর নজরে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখনও অবধি এদেশে তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে সেই প্রজাতিও অনেক বেশি মাত্রায় সংক্রমিত করার ক্ষমতা রাছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে INSACOG-এর সাপ্তাহিক বুলেটিনে। পাশাপাশি, করোনা আবহে IIT মাদ্রাজের অঙ্ক বিভাগের R-ভ্যালু সংক্রান্ত একটি গবেষণাও সামনে এসেছে।
একজন আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কতজন সংক্রমিত হতে পারে তা নির্ভর করে R-ভ্যালুর ওপর। গবেষণায় বলা হয়েছে, কলকাতা ও মুম্বইয়ের R-ভ্যালু ১-এর নীচে। এই মান থাকলে কোনও এলাকা অতিমারী থেকে বেরিয়ে গেছে বলে ধরে নিতে হবে। আর তাতেই কলকাতা ও মুম্বই অতিমারী থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণায়।
তবে বাকি শহরগুলিতে আগামী ১৪দিন সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। এদিকে, ২৪ দিন পর কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ হাজারের নীচে এসেছে। ৩১ ডিসেম্বরের পর রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হারও দু’অঙ্কের নীচে নেমেছে। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে দৈনিক মত্যুর সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে করোনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়া ও বীরভূমে ৬ করে সংক্রমিত মারা গিয়েছেন।