রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: দেশ আগে না কি দল আগে? নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিল একটি ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে। যেখানে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদ্‍যাপন অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকার আগে দলীয় পতাকা তুলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে। এবিপি আনন্দ ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি।


ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ি শহরের বাবুঘাটে তৃণমূলের জেলা সদর কার্যালয়ের সামনে নেতাজি জয়ন্তী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। সেখানে প্রথমেই দলীয় পতাকা উত্তোলনের ডাক দেওয়া হয়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি দলীয় পতাকা উত্তোলন করতে যেতেই দলের এর কর্মী তাঁকে জাতীয় পতাকা আগে তুলে, তারপরে দলীয় পতাকা তোলার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত দলীয় পতাকাই আগে তোলা হয়। তারপর তোলা হয় জাতীয় পতাকা।


ভাইরাল ভিডিও-কে অস্ত্র করে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেছেন, ‘আমরা বারবারই দাবি করেছিলাম, পশ্চিমবঙ্গকে পুনরায় বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে। এটা আবার প্রমাণ করল পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের বাইরে। তাই আগে জাতীয় পতাকাকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশের সংবিধানকে উপেক্ষা করে সেখানে আগে তৃণমূলের দলীয় পতাকা উত্তোলন হয়।’


পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি শাসক শিবির। জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘জাতীয়তাবোধ বিজেপির থেকে বাংলা বা তৃণমূল শিখবে না। অমর জওয়ান জ্যোতি বুজিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। এটা যন্ত্রণার। ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে বিজেপি ছিল না। আজাদ হিন্দ বাহিনীকে হারাতে যিনি সাহায্য করেছিলেন, তিনি সঙ্ঘের গুরু সাভারকার। দলীয় পতাকা আগে উঠল না জাতীয় পতাকা আগে উঠল, এই সব ভিডিও ভাইরাল করে লাভ নেই। দুটোই তেরঙ্গা।’


নেতাজি স্মরণ ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় সংঘর্ষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোদালিয়ায় দেশনায়কের পৈতৃক ভিটে সংস্কার নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। এরই মধ্যে জলপাইগুড়িতে পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে দানা বাঁধল বিতর্ক।