কলকাতা : কাশীপুরের (Cossipore) ঘটনা নিয়ে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। অমিত শাহ-র (Amit Shah) সফরের মধ্যেই এই ঘটনা পরিকল্পিত চিত্রনাট্য কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিকে ট্যুইট করে অমিত শাহের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।


ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, শ্রীযুক্ত অমিত শাহ, অনেক ঠকিয়েছেন আপনি। এখনও যদি আপনি উপলব্ধি না করে থাকেন তাই বলছি, আমাদের পবিত্র ভূমি থেকে আপনার বিভাজনের রাজনীতি সরিয়ে নিন। বাংলা সংঘবদ্ধই আছে। রাজনৈতিক পর্যটক আবার বাংলায় ফিরে এসেছেন।






কাশীপুরে বিজেপি যুব মোর্চার এক নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে তুলকালাম। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ২৬ বছরের ওই যুবক, অর্জুন চৌরাসিয়াকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘরে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ মেলে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। পুলিশকে দেহ বের করতে বাধা দেওয়া হয়। দফায় দফায় বিক্ষোভ হয় পুলিশকে ঘিরে। এরমধ্যেই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ। তৃণমূল ও বিজেপি, দু’দলের কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় স্লোগান যুদ্ধ।  


পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। তারা দেহ উদ্ধার করতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অবশেষে বিজেপি কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে পুলিশ মৃতদেহ বের করে। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।  ঘটনায় মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।  


এদিকে বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কলকাতায় আসার দিনই চিত্‍পুরে মিলল বিজেপি যুব মোর্চা নেতার ঝুলন্ত দেহ। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের যুব মোর্চা নেতার রহস্যমৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তিনি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তাঁকে কলকাতায় স্বাগত জানানোর কর্মসূচি যেন বাতিল করা হয়। 


এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ কুণাল ঘোষ যা বললেন,এই গোটা ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোথাও, কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁকে বিজেপির এক বিদ্রোহী বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে দেখা যেত। শান্ত এলাকা। নির্বাচনপর্বও শেষ হয়ে গেছে। ওই এলাকায় মৃত্যু হল। এবার এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা - এ তদন্ত না হলে কে বলবে। যে কোনও ব্যক্তির নানা সমীকরণ থাকে, ফলে তিনি যে দলেরই হোন ..মৃত্যু হলেই সঙ্গে সঙ্গে সেটা রাজনৈতিক মৃত্যু...এই কথাগুলো আসছে কোথা থেকে।