কলকাতা: গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী, সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন খারিজ করল আসানসোলের সিবিআই আদালত! তাঁকে আরও ৭ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠালেন বিচারক।
শুক্রবার আদালতে সায়গলের জামিনের আর্জি জানিয়ে তাঁর আইনজীবী যুক্তি দেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৭A ধারায় সায়গলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, তা নিয়ম অনুযায়ী সঠিক নয়। সায়গল হোসেন রাজ্য সরকারের কর্মী। তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। যা করা হয়নি।সায়গলের গ্রেফতারির পদ্ধতি নিয়ে আগেই অভিযোগ ওঠায়, CBI-এর তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যকে শোকজ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
এদিন তার জবাব মেলার পর, এবিষয়ে আগামীদিনে সতর্ক থাকার কথা মনে করিয়ে দেন বিচারক। সায়গলের আইনজীবী আরও বলেন, সায়গলকে যদি হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জোর করে কিছু বলিয়ে নিতে চায়, তাহলে নীরব থাকার অধিকার খর্ব হবে।
জামিনের আবেদন খারিজ
ধৃতের আইনজীবীর এই যুক্তি খারিজ না করলেও বিচারক বলেন, সিবিআই-এরও মৌলিক অধিকার রয়েছে, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তাই সায়গল হোসেনকেও তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের পাশাপাশি, বীরভূমের বোলপুর ও নিউটাউনে সায়গলের একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে বলে CBI সূত্রে দাবি। এদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী অফিসার আদালতকে জানান। নামে-বেনামে সায়গলের আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে। জমি-জায়গারও নানা নথি পাওয়া গেছে। ফ্ল্যাট ও বাড়ির খোঁজ মিলেছে। বহুমূল্য গয়না পাওয়া গেছে। সে বিষয়ে জানতে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।
এরপরই সিবিআইকে সেই সমস্ত তথ্য সিজার লিস্টে তুলে, জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পরে, আসানসোলের সিবিআই কোর্টের বিচারক ২৪ জুন অবধি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ এবং প্রশাসনের হেভিওয়েট কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে এনামুলের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজটি সায়গলই করতেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তার পরিবর্তে তিনি কী কী সুবিধা নিয়েছিলেন, প্রভাবশালীদের মধ্যে কে কে জড়িত ছিলেন, সেই সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে চায় সিবিআই।