রাজকোট: আইপিএলে (IPL) ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ছন্দে ছিলেন। ফর্মের জন্যই দীর্ঘদিন বাদে তাঁকে জাতীয় দলে ফেরানো হয়। শুক্রবার দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) প্রমাণ করলেন, তাঁর ওপর আস্থা রেখে ভুল করেননি নির্বাচকেরা। মাত্র ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি। ২৭ বলে ৫৫ রান করে আউট হলেন ডিকে (DK)। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফসেঞ্চুরি তাঁর। ডিকে-কে সঙ্গত করলেন হার্দিক পাণ্ড্যও (Hardik Pandya)। ৩১ বলে ৪৬ রান করলেন আইপিএল জয়ী হার্দিক। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৩৩ বলে ৬৫ রান যোগ করে ম্যাচের মোড় ঘোরালেন দুজনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলল ১৬৯/৬।
রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কে এল রাহুলকে। কিন্তু চোটের জন্য ছিটকে যান রাহুলও। তাই নেতৃত্বপের দায়িত্ব দেওয়া হয় ঋষভ পন্থকে। সিরিজে ব্যাট হাতে রানের খরা চলছে পন্থের। সেই সঙ্গে মুখ ফিরিয়েছে টস ভাগ্যও। শুক্রবারও তিনি টস হেরে যান। এই নিয়ে টানা চার ম্যাচেই টস জিতলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। এবং টস জিতে ফের তিনি ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান। এই সিরিজে তিনি কৌশলই নিয়ে ফেলেছেন যে, প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাট করিয়ে নেবেন। তারপর লক্ষ্য বুঝে জয়ের জন্য ঝাঁপাবেন। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে এই ফর্মুলা কাজও দিয়েছে।
শুরুতেই ভারতীয় ইনিংসে জোরাল ধাক্কা লাগে। ম্য়াচের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫ রান)। পরের ওভারেই শ্রেয়স আইয়ারকে (৪ রান) তুলে নেন মার্কো জানসেন। ২৪/২ হয়ে যায় ভারত। রান পাননি ঈশান কিষাণ (২৭) ও ঋষভ পন্থও (১৭)। ১২.৫ ওভারে ৮১/৪ হয়ে যাওয়ার পর মনে করা হয়েছিল, লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছতেই পারবেন না ভারত।
সেখান থেকেই ডিকে ও হার্দিকের পাল্টা লড়াই। পঞ্চম উইকেটে দ্রুত ৬৫ রান যোগ করে ভারতকে ম্যাচে ফেরান দুই তারকা। ডিকে ৯টি চার ও জোড়া ছক্কা মেরেছেন। ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন হার্দিক।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে আদরে-সমাদরে বরণ, রাজকীয় জামাইষষ্ঠী পালন সুনীলের