ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : আবার ছড়াচ্ছে করোনা । দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার চিন্তা বাড়াচ্ছে । এরই মধ্যে কলকাতায় আরও ২১ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল।  সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫জন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত তিন দিনে সেখানে পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। যদিও তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি।         

রাজ্যে কার কেমন পরিস্থিতি ?                   

জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ নিয়ে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আশি ঊর্ধ্ব এক বৃদ্ধ। কলকাতার মণিপাল হাসপাতালে করোনা পজিটিভ ৩ জনের মধ্যে একজনকে রাখা হয়েছে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড পজিটিভ সমস্ত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এখন থেকে সব নমুনা পাঠানো হবে পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। পরীক্ষা করে দেখা হবে কোন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি আছে।

কী বলছেন চিকিৎসক?     

ফুসফুস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাজা ধর জানাচ্ছেন, তিনি গত তিন দিনে যত টেস্ট করেছেন , তার এক তৃতীয়াংশ পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছেন। একে মিনি আউটব্রেক বলা যেতেই পারে। চিকিৎসকের মতে, হাসপাতালের পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে হবে। চিকিৎসকের মতে, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। বর্তমানে যে প্রজাতি মূলত সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, তা থেকে সংক্রমণের প্রবণতা বেশি।         

দেশের করোনা পরিস্থিতি          

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, সোমবার পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১০। কেরলে আক্রান্ত ৪৩০, মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ২১০ ও দিল্লিতে আক্রান্ত ১০৪ জন। এই রাজ্যগুলিতে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মনে করছেন চিকিৎসকরা।  মিজোরামে সাত মাস পরে নতুন করে দু'জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। 

করোনার নতুন উপপ্রজাতি NB.1.8.1র দাপট         

২০২০ থেকে ২০২২। গোটা বিশ্বে কাঁপুনি ধরিয়েছিল করোনা। কেউ স্বজন হারিয়েছিলেন। কেউ হারিয়েছিলেন উপার্জন।  ঘরবন্দি অবস্থায়, আতঙ্ক, যন্ত্রণায় ভরা এক দুর্বিসহ সময় কাটাতে হয়েছিল গোটা বিশ্বের মানুষকে। তিন বছর পর ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন উপপ্রজাতি NB.1.8.1 ।  গত কয়েকদিন ধরে, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো জায়গায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমিতের সংখ্য়া।  উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে এদেশে।