নয়াদিল্লি :  দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আবারও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।  প্রত্যেক বার যে ঢেউ গুলি আছড়ে পড়ে, তার পিছনে থাকে কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপট। এবার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,  XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট এবার করোনা গ্রাফে হঠাৎ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। 


করোনা XBB.1.16.1 এর নতুন রূপ, যাকে Arcturus ও বলা হচ্ছে, তা ভারতের ৯টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বহু জন রোগী এতে আক্রান্ত হয়েছে । শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নয়, এই ভ্যারিয়েন্টটি XBB.1.16.1 শিশুদের মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে। যার মধ্যে চোখ লাল হওয়াকে বলা হচ্ছে নতুন উপসর্গ।

করোনাভাইরাস এক্সবিবি.১.১৬.১ এর নতুন রূপ কি প্রাণঘাতী? 


চিকিত্সকরা মনে করছেন, কোভিড-19-এর নতুন রূপ XBB.1.16.1 Omicron ভ্যারিয়েন্টের একটি সাব - ভেরিয়েন্ট। এটি দ্রুত ছড়ায়। অনেক বেশি সংক্রামক। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হল -


  •  জ্বর

  • কাশি

  • সর্দি

  • নাক বন্ধ

  • হাঁচি

  • গলা ব্যথা

  • কণ্ঠস্বর পরিবর্তন

  • শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা

  • শরীরে ব্যথা, ক্লান্তি।

  • এছাড়াও, চোখে জ্বালা, লালচেভাব, ডায়ারিয়া, বুকে ব্যথা ইত্যাদিও এই নতুন রূপটিতে দেখা যায়।


করোনার এই সাব ভ্যারিয়েন্টেের হানা থেকে বাঁচবেন কীভাবে



  • কোভিড-19-এর নতুন রূপ XBB.1.16.1 এড়াতে, আপনাকে ট্রিপল লেয়ার মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিন, বিশেষ করে ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।

  •  আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা জরুরি হয়ে পড়েছে।

  • জনাকীর্ণ এলাকায় যাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত

  • প্রয়োজন হলে নাক, কান ও মুখ ঢেকে রাখা উচিত।

  • যদি আপনি কোন ধরনের উপসর্গ দেখতে পান, তাহলে নিজেকে আইসোলেট করুন । 

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভাজা ও মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। 

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে (Covid Case) আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ১১১ জন। একদিনে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩১৩। নিয়ম মেনে এখনও জারি রয়েছে কোভিড টিকা নেওয়ার কাজ।  দেশের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি কোভিড -19 এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া সত্ত্বেও ভারতে কোভিড -১৯ কেস ফেব্রুয়ারির শেষের দিক থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হল XBB.1.16 Omicron সাবভেরিয়েন্ট অন্যান্য SARS-CoV-2 স্ট্রেনের তুলনায় বেশি সংক্রামক, এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-19 ভ্যাকসিন দ্বারা প্রদত্ত অনাক্রম্যতা লঙ্ঘন করার ক্ষমতা তৈরি করেছে।