অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : করোনা রুখতে কলকাতায় (Kolkata) কনটেনমেন্ট (Containment Zone) ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট (Micro Containmet Zone) মিলিয়ে ২৫টি জোন তৈরি করা হয়েছে । এর মধ্যে ১৪টিই আবাসন বা ফ্ল্যাট (Flat)। আর ঝুপড়ির (Slum) সংখ্যা ২। অর্থাৎ ঝুপড়ির থেকেও, কলকাতায় সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে অভিজাত আবাসন (HighRise) ও ফ্ল্যাটগুলিতে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্ষবরণের (New Year) উৎসব-পার্টি-হুল্লোড়ের জন্য ছড়াতে পারে সংক্রমণ। পরিস্থিতির জন্য আবাসিকদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)।


আনন্দপুরের বহুতল আবাসন আরবানা (Urbana), একবালপুরের ময়ূর অ্যাপার্টমেন্ট ও আইডিয়াল টাওয়ার, তপসিয়ার বৃন্দাবন গার্ডেন, প্রগতি ময়দান এলাকার সিলভার স্প্রিংয়ের (Silver Spring) মতো অভিজাত আবাসনগুলিতে সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে। ঝুপড়ি অঞ্চল ঘিঞ্জি, উল্টোদিকে আবাসনগুলো অনেকটাই খোলামেলা। তা সত্ত্বেও কেন আবাসনগুলিতে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? অভিজাত আবাসনগুলিতে করোনা ছড়ানোর অন্যতম কারণ, বর্ষবরণের উৎসব-পার্টি-হুল্লোড়ও হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।


 তৃণমূল সাংসদ ও আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ-র সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সেন বলেছেন, 'এই সমস্ত বহুতলের আবাসিকদের মধ্যে কেয়ারলেস ভাব থাকে। সেই জন্য হচ্ছে।' চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরীর মতে, 'থার্টি ফার্স্ট নিয়ে আমরা যে মাতামাতি করেছি নিজেদের আবাসনের মধ্যে তার ফল এমনই।' আর চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেছেন, 'বর্ষশেষের পার্টি,  মাস্ক খুলে উচ্ছ্বাস থেকে এটা ছড়িয়েছে। একজনের থেকে অন্যদের হয়তো হয়েছে।'


বহুতলে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য, বাসিন্দাদের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছে পুরসভাও। ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্তকুমার ঘোষ বলেছেন, 'অভিজাত অঞ্চলে কেন ছড়াচ্ছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। কিন্তু তাদের লাইফস্টাইল তো অবশ্যই একটা জায়গায় ঘটানোর জন্য দায়ী।' যদিও এক অভিজাত আবাসনের সেক্রেটারির মতে, 'বস্তির লোকজন মাইক বাজিয়ে থার্টি ফার্স্ট করতে পারে। এখানকার লোকজন বড় জায়গায় যায়, সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।' এই মুহূর্তে কনটেনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুরসভা। 


আরও পড়ুন- রাজ্যজুড়ে করোনার থাবায় আক্রান্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা, পরিষেবা নিয়ে তৈরি হচ্ছে গভীর উদ্বেগ