নয়া দিল্লি: দেশে করোনা (Coronavirus) গ্রাফের ওঠানামা চলছেই। দেশে কিছুটা বাড়ল করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২৭ জন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ হাজার ৪২৪। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৯৩ জনের। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩০৮ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৬৩।
চিনে (China) দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে করোনা। এই অবস্থায়, উদ্বেগে রয়েছে ভারত (India)। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, বুস্টার ডোজ নিতে। ভারতজুড়েও জারি হয়েছে সতর্কতা। বিমানবন্দরে চলছে নজরদারি। হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জোর দিতে বলা হয়েছে বুস্টার ডোজে। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতেও অনেক জায়গাতেই উঠছে, ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগ। তাঁদের দাবি, বুস্টার ডোজের জন্য আর জি কর হাসপাতালে গেলেও তাঁরা ভ্যাকসিন পাননি।
আরও পড়ুন, উষ্ণ বড়দিন, কুয়াশা ঢাকা শহরে এক ধাক্কায় বাড়ল তাপমাত্রা
করোনা ভাইরাসের ছোবলে কয়েকদিনের মধ্যে কার্যত তছনছ হয়ে গেছে চিন। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর হানায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সে দেশে। ৭ ডিসেম্বরের পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে চিন। ফলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা স্পষ্টভাবে সামনে আসছে না। কিন্তু, বিভিন্ন সূত্র মারফত যেসব তথ্য সামনে আসছে, তা ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো।
কোনও সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, চিনে একদিনে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কোনও সূত্রে আবার দাবি করা হচ্ছে, ফাঁস হওয়া সরকারি নথিতে দেখা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বরে চিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ কোটি মানুষ। চিন, জাপান-সহ বিভিন্ন দেশে ছড়াতে শুরু করেছে করোনার নতুন সাব ভ্য়ারিয়েন্ট। জাপানের একদল গবেষকের দাবি, এই ভাইরাস মৃতদেহ থেকেও ছড়াতে পারে। নমুনা পরীক্ষাতেও দেখা গেছে, মৃতদেহে এই ভাইরাস অনেকদিন সক্রিয় থাকে। যদিও, গবেষকদের একাংশের দাবি, এনিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।