ঢাকা: দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে এ বছরের এশিয়া কাপেই বিরাট কোহলি (Virat Kohli) শতরান হাঁকিয়েছিলেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিজের কেরিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি শতরান করেন বিরাট। সদ্যই ওয়ান ডে ক্রিকেটে শতরানের অপেক্ষারও অবসান ঘটে। ১২১৪ দিন পরে সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলির ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি আসে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (IND vs BAN) তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ৯১ বলে ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে টেস্টে যেন কোহলির দুঃসময় কাটছেই। চলতি ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১ রানে আউট হয়ে কোহলির ২০২২ সাল শেষ হল।


ব্যাটে রানের খরা


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোটা টেস্ট সিরিজেই ব্যাট হাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটার। চার ইনিংসে কোহলির মোট সংগ্রহ মাত্র ৪৫ রান। এই সিরিজে ১৫-র গড়ে রান করেছেন বিরাট। এশিয়ায় অনুষ্ঠিত দুই বা ততোধিক টেস্ট ম্যাচের সিরিজে কোহলি নিজের কেরিয়ারে মাত্র একবারই এর থেকে কম গড়ে রান করেছেন। ২০২২ সালের কোহলি যেন ২০১৪ সালের কোহলিকেও মনে করিয়ে দিচ্ছেন। লাল বলের ক্রিকেটে বিগত ১০ ইনিংসে তিনি একবারও অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করতে পারেননি।


লাল বলের ক্রিকেটে শেষ ১০ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ যথাক্রমে ২৯, ৪৫, ২৩, ১৩, ১১, ২০, ১, ১৯, ২৪ ও ১। কোহলির কেরিয়ারে এমন ঘটনা অতীতে কেবল একবারই ঘটেছে।  আট বছর আগে ইংল্যান্ড সফরেও জেমস অ্যান্ডারসনের সুইং সামলাতে নাজেহাল কোহলি টানা ১০ ইনিংসে অর্ধশতরান করতে ব্যর্থ হন। এছাড়া কোহলি আর কখনই এতগুলি ইনিংস ধরে অর্ধশতরানের করতে ব্য়র্থ হননি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে কোহলি নিজের শেষ টেস্ট শতরান হাঁকিয়েছিলেন। নতুন বছরে লাল বলের ক্রিকেটে 'কিং কোহলির' শতরানের খরা কাটে কি না, সেইদিকেই ভারতীয় সমর্থকদের নজর থাকবে।


মেজাজ হারলেন কোহলি


গোটা সিরিজে রান পাননি। ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৪ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ রান করেই আউট হন। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বভাবতই মেজাজ ছিল বিগড়ে। তার মধ্যে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর যখন ৩৭, তখন বিরাট আউট হন। কোহলির উইকেট পেয়ে তেতে ওঠেন মেহদি, তাইজুল, তাসকিনরা। এরপরই ঝামেলার সূত্রপাত।


আউট হয়ে যখন ফিরছিলেন বিরাট, তখন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তাঁকে কিছু একটা বলেন। বিরাট ক্রিজ ছাড়ার মুহূর্তে যা শুনে ফের এগিয়ে আসেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দিকে। সেই সময়ই শাকিব আল হাসান ও আম্পায়াররা মিলে বিরাটকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। বিরাটকে বোঝানোর পর শাকিবকে দেখা যায় নিজের সতীর্থদের দিকে এসেও তাঁদের কিছু বোঝাচ্ছেন। 


আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টে এগিয়ে টাইগাররাই, তৃতীয় দিনের শেষে মনে করছেন লিটন