অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ৩ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৬টি স্কুল থেকে ১৫ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। ৪ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ৫০টি স্কুল থেকে ১৫ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে কোভ্যাক্সিন। কলকাতায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী আড়াই লক্ষ জনকে দেওয়া হবে কোভ্যাক্সিন, খবর কলকাতা পুরসভা সূত্রে।
এছাড়া আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১০ জানুয়ারি ষাটোর্ধ্বদের দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ।
করোনার পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বিদেশে না গিয়েও সংক্রমিত হয়েছেন আরও চারজন। রাজ্যে নতুন করে পাঁচজন ওমিক্রন পজিটিভ। তাঁদের মধ্যে একজনের বিদেশ যাত্রার রেকর্ড থাকলেও, বাকি চারজন বিদেশে যাননি। এই চারজনের মধ্যে দু’জন কলকাতার এবং বাকি দু’জন দমদম ও হাওড়ার বাসিন্দা। এক জন পূর্ব আফ্রিকার তানজানিয়ার বাসিন্দা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পাঁচ ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে কারও মৃদু উপসর্গ রয়েছে। কেউ কেউ উপসর্গহীন। পাঁচজনই রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের তরফে মোট ১০৭ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচজনের নমুনায় ওমিক্রন ধরা পড়ে। রাজ্যে এই নিয়ে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সোমবার ২২৫টি এবং গতকাল ৭০০টি নমুনা ওমিক্রন-পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, যার রিপোর্ট এখনও আসেনি।
পশ্চিমবঙ্গে কি ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে? এই উদ্বেগ জোরাল হচ্ছে। ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে আজ স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠক হয়। ওমিক্রন নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে? আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা কীভাবে হবে? সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।
চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক জানিয়েছেন, ‘ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। এটা গোষ্ঠী সংক্রমণ। বিদেশে যাননি, এখানে থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন, তার মানে এখানেও ভাইরাসটা ছিল। ভাইরাসটা ছড়াচ্ছে। অবিলম্বে সতর্ক করতে হবে।’