ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: গরুপাচার মামলার তদন্তে তৎপর সিআইডি। ওই মামলায় শুক্রবার রাজারহাটে সিআইডি অভিযান করে সিআইডি। রাজারহাট এলাকায় এক মার্বেল ব্যবসায়ীর দোকান সিল করে দেয় সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে খবর:
গরুপাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে যোগ রয়েছে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর। সূত্রের খবর, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সিআইডির তরফে। শহরজুড়ে তল্লাশির পর উঠে আসে ব্যবসায়ীর নাম, সিআইডি সূত্রে খবর এমনটাই। কয়লা থেকে গরু পাচার মামলা। পৃথক মামলার ভিত্তিতে সিবিআইয়ের (CBI) পাশাপাশি, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিআইডিও (CID)। শুক্রবার যেমন কয়লা পাচারকাণ্ডে, সিআইডি তলব করলেও ভবানীভবনে হাজিরা দিলেন না বিজেপি নেতা ও আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেদিনই গরু পাচার মামলার তদন্তে, রাজারহাটে এক মার্বেল ব্যবসায়ীর দোকান সিল করে দিল সিআইডি।
কোন মামলার তদন্ত:
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া গরু পাচার নিয়ে একটি মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত করছে সিআইডি। গত ৩ সেপ্টেম্বর, জঙ্গিপুর থেকে এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী জেনারুল শেখকে গ্রেফতার করে তারা। সিআইডি-র দাবি, এনামুল এবং জেনারুল মিলে গরুপাচার করতেন। এমনকি, সীমান্তে আটক করা গরু নিলাম থেকে কিনে পাচার করা হত বলে সিআইডি-র দাবি। অভিযুক্ত জেনারুলকে সেইসময় ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্য়েই বাংলায় জল গড়িয়েছে অনেকদূর। তদন্তে নেমে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গরুপাচারে আরও প্রভাবশালীরা জড়িত থাকতে পারেন বলেও দাবি উঠছে। সেই আবহেই সিআইডি-র হাতে ধরা পড়েন জেনারুল। সূত্রের খবর, তাঁর কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি বহুতলে হানা দিয়েছিলেন সিআইডি অফিসাররা। যেখানে এনামুল ও তাঁর আত্মীয়দের অফিস ছিল বলে সূত্রের খবর। আর শুক্রবার রাজারহাটের দশদ্রোণ এলাকায়, এক মার্বেল ব্যবসায়ীর খোঁজে যায় সিআইডি। কিন্তু হদিশ মেলেনি তাঁর। সিল করে দেওয়া হয় তাঁর বন্ধ দোকান।
কী সন্দেহ সিআইডির?
সিআইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ব্যবসায়ীর টাকাও গরু পাচারে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে কি এনামুলের কোনও যোগ আছে? সেই দিকটিই খতিয়ে দেখছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের, কতজনের নিয়োগ?