আবির দত্ত, সৌমিত্র রায় ও শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক উদ্ধারকাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি সায়গল হোসেনকে জেরা করল NIA। বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও কি সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) যোগাযোগ ছিল ? প্রভাবশালী যোগ ছাড়া কি এই বিস্ফোরকের কারবার চলতে পারে ? সায়গলকে জেরা করে এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে NIA।
CBI, ED-র পর NIA। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ত্রিফলার মুখে গরুপাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuugling Case) সায়গলকে ইতিমধ্য়েই জেরা করেছে CBI এবং ED। শুক্রবার বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক উদ্ধারকাণ্ডে। তিহাড় জেলে বন্দি সায়গল হোসেনকে জেরা করল NIA। ৫ ঘণ্টা ধরে চলে সেই জেরা-পর্ব।
২০২২ সালের জুন মাসে বীরভূমের মহম্মদবাজারে তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের STF। গাড়ির চালককে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিলেটিন স্টিক ও আরও ২ হাজার ৩২৫টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়। বিপুল এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তভার নেয় NIA।
পেশায় সফটওয়্য়ার ইঞ্জিনিয়ার ও বিকাশ ভবনে National Informatics Centre বা NIC-র প্রজেক্টে কাজ করা এক যুবক-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে তারা। প্রশ্ন ওঠে প্রভাবশালী যোগ ছাড়া কি এই বিস্ফোরকের কারবার চলতে পারে ? এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলের বিরুদ্ধে। প্রভাব খাটিয়ে গরু পাচারকারীদের সেফ প্যাসেজ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল CBI, ED। সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষাপটে NIA জানতে চায়, বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও কি সায়গল হোসেনের যোগাযোগ ছিল ?
সায়গলের ফোন ব্য়বহার করে কি কোনও প্রভাবশালী, বিস্ফোরক কারবারিদের কথা বলতেন ? জিলেটিন স্টিক উদ্ধারকাণ্ডের তদন্তে, সায়গল হোসেনকে জেরা করতে সম্প্রতি দিল্লি পাড়ি দেয় NIA-এর টিম। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বৈঠকও করেন তারা।
আরও পড়ুন- পাশে পাননি বাড়ির লোকদেরও, মনের জোরে মৃত স্বামীর সংরক্ষিত শুক্রাণু ব্যবহার করে হলেন মা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে