কলকাতা: এক গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-১-এ নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারাল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। নর্থইস্টের ঘরের মাঠে তাদের ওপর রীতিমতো আধিপত্য বিস্তার করে হারাল সবুজ-মেরুন বাহিনী। ম্যাচের শেষ দিকে যে কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল তারা, তা কাজে লাগাতে পারলে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত তারা। কয়েকদিন আগে নর্থইস্টকে পাঁচ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এ দিন মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা যদি সুযোগগুলি ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারতেন, তা হলে সেই ব্যবধানকেও ছাপিয়ে যেত পারতেন হয়তো। 


সারা ম্যাচে এ দিন ২৩বার গোলের চেষ্টা করে কলকাতার দল। সেখানে ৬টির বেশি সুযোগ তৈরি করে নিতে পারেনি নর্থইস্ট। প্রতিপক্ষের বক্সে মোহনবাগান যেখানে ৩৬বার বল ছুঁয়েছে, সেখানে নর্থইস্ট মাত্র তিনবার বল ছুঁতে পেরেছে। এতটাই ফারাক ছিল দুই দলের আক্রমণের তীব্রতায়। এ দিন সাতটি শট গোলে রাখে মোহনবাগান। নর্থইস্ট ইউনাইটেড তিনটির বেশি শট গোলে রাখতে পারেনি। বিরতির পরেই কিয়ান নাসিরিকে জোরালো আঘাত করে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ তথা লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান নর্থইস্টের ডিফেন্ডার তোনদোনবা সিং। ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় দশ জনে খেলায় আরও দুর্বল হয়ে পড়ে নর্থইস্টের রক্ষণ। শেষ দিকে প্রায় হাল ছেড়ে দেয় তারা। 


জয় ছাড়াও সবুজ-মেরুন সমর্থকদের স্বস্তি দেওয়ার আরও একাধিক কারণ ছিল এই ম্যাচে। কামিংসের গোলে ফেরা, পেট্রাটস, বুমৌস ও মনবীরের মাঠে ফেরা। তার ওপর আবার বোনাস দলের বঙ্গ অধিনায়ক শুভাশিস বোসের গোল। সব মিলিয়ে দিনটা মনে রাখার মতো ছিল মোহনবাগানের। চার মিনিটের মাথায় ফাল্গুনী সিংয়ের গোলে নর্থইস্ট এগিয়ে যাওয়ার পরে যে চাপটা এসেছিল, তা প্রথম গোল করে কাটিয়ে দেন দীপক টাঙরি। ১৪ মিনিটে গোল শোধের পর কামিংস ব্যবধান বাড়ান ২৮ মিনিটে এবং ৭১ মিনিটের মাথায় শুভাশিসের গোলে জয় সুনিশ্চিত করে মোহনবাগান এসজি। এই জয়ের ফলে সাত ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এলে তারা। নর্থইস্ট রয়ে গেল সাতে।     


এ দিন দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, হুগো বুমৌস ও মনবীর সিংকে মোহনবাগানের রিজার্ভ বেঞ্চে দেখা যায়। প্রথম এগারোয় সহাল আব্দুল সামাদের জায়গায় দীপক টাঙরি শুরু করেন। পরে অবশ্য মাঠে নামেন তিন তারকাই। অন্যদিকে, গনি নিগম ও রোমেন ফিলিপোতোকে বাইরে রেখে প্রথম এগারো নামায় নর্থইস্ট, যে সিদ্ধান্ত খুব একটা ইতিবাচক ফল দেয়নি তাদের। 


যদিও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে হোম টিম নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং চতুর্থ মিনিটে গোলও দিয়ে দেয় তারা। কিন্তু তার পরে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিয়ে আসে সবুজ-মেরুন বাহিনী এবং ২-১-এ এগিয়েও যায়।