শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: যে কোনও সময় ED, CBI আমাকেই হয়ত গরু পাচারকারী বলে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে। এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী ও দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। পাশাপাশি পাচারে BSF-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, "আমার যেটা হয়েছে, একটা পা বাইরে, আরেকটা পা আমি জেলের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে আছি। যে কোনও সময় ED, CBI আমাকেই হয়ত গরুপাচারকারী বলে, এইখানে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে।"
প্রসঙ্গত, গরুপাচার নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। জেল হেফাজতে রয়েছে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর চলতি মাসের ১৪ তারিখ বেহালায় ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা যায় তৃণমূলনেত্রীর গলায়। এর আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কাল আমার বাড়িতে গেলে রাস্তায় নামবেন তো? আমার টা আমিই লড়ে নেব। কাল যদি আমার বাড়িতে সিবিআই যায়, আপনারা পথে নামবেন তো? রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন তো?" এবার সেই সুরই শোনা গেল উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর গলায়। শনিবার, কোচবিহারের সীমান্ত লাগোয়া চৌধুরীরহাটে তৃণমূলের তরফে উদয়ন গুহকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। সেখানেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। আমাকেই হয়ত গরুপাচারকারী বলে জেলে ঢোকাতে পারে, এমনটাই বলেন উদয়ন গুহ।
তৃণমূল নেতা বলেন, "আমার যেটা হয়েছে, একটা পা বাইরে, আরেকটা পা আমি জেলের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে আছি। যে কোনও সময় ED, CBI আমাকেই হয়ত গরুপাচারকারী বলে, এইখানে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে। তারজন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকবেন। যেদিন থেকে বাড়িতে গ্যাস ঢুকেছে, সেদিন থেকে কয়লা আনতে আর কয়লার ডিপোতে যাইনি। তারপরেও হয়ত কয়লাপাচারকারী হিসেবে আমাকে জেলে ঢুকিয়ে দিতে হতে পারে। আমাকে নিয়ে বলছি। আপনাকেও হতে পারে।"
আরও পড়ুন, খিদিরপুরে লরির চাকায় পিষ্ট গাড়ি, বেঘোরে মৃত্যু তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের
ভবিষ্যৎদ্রষ্টা উদয়ন, কটাক্ষ বিজেপির। সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। উনি দুর্নীতিগ্রস্ত সবাই জানে। পাশাপাশি, গরু পাচারে BSF-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন উদয়ন গুহ। এদিকে, শনিবার সকালে দিনহাটার বুড়ির হাট থেকে বলরামপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের সূচনা করেন উদয়ন গুহ। সেখান থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন তিনি।
উদয়ন গুহ বলেন, রাস্তা এমন কিছু করবেন না, ঠিকাদারের থেকে কোনওরকম টাকা নেবেন না। এমন কিছু করবেন না যাতে ঠিকাদার তার কাজের সঙ্গে আপস করে। অন্যদিকে, কোচবিহারের সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, "কথায় আছে চোরের মায়ের বড় গলা। মন্ত্রী জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। কন্ট্রাক্টরদের থেকে টাকা নেওয়া তৃণমূলের সংস্কৃতি। টাকা না নিলে দলটা উঠে যাবে।" সবমিলিয়ে, গরু ও কয়লাকাণ্ডকে ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।