রাজীব চৌধুরী ও ঝিলম করঞ্জাই: ইন্ডিয়া (INDIA) জোটে রয়েছেন কিন্তু রাজ্যে একলা চলোর ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে উৎসাহ দেখানো হলেও রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে জল ঢেলেছেন খোদ মমতা। এই পরিস্থিতিতে সিপিএমের সঙ্গে জোট বৈঠকে বসছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। আজ, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মহম্মদ সেলিম (MD Selim)। আসন রফা নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। 


লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হচ্ছে না তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্যে আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল সিপিএম -কংগ্রেস। আজ মুর্শিদাবাদে বৈঠকে বসছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 


ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে একলা চলোর ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে মমতা বলেছেন, 'মনে রাখবেন দিল্লি জয় আমরাই করব। বাংলা পথ দেখাবে। বাংলায় আমরা একাই লড়ব।' সিপিএম- কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও রকম আসন সমঝোতা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি।


কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তৃণমূলের সঙ্গে জোট চাইলেও শুরু থেকে এই নিয়ে আপত্তি ছিল প্রদেশ কংগ্রেসের। এই অবস্থায়, সিপিএমের সঙ্গে জোটের প্রস্তুতিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা।  সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে, লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা হবে দু'পক্ষের। উত্তরবঙ্গ, মুর্শিদবাদ, নদিয়া, মালদা, বীরভূম জেলার আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কংগ্রেসের কাছে মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ, বোলপুর লোকসভা দাবি করতে পারে সিপিএম। বিনিময়ে মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, বহরমপুর, দার্জিলিং, সিউড়ি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে তৈরি তারা।


সূত্রের খবর, জঙ্গিপুর আসনটি বামেদের ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। কৃষ্ণনগর, বোলপুর আসন সিপিএমকে ছাড়তে পারে হাত শিবির। রাজ্য জুড়ে যৌথভাবে প্রচারের পদ্ধতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।


সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'আমার পার্টির বৈঠক আছে। অধীরের সঙ্গে দেখা হবে। বিজেপিকে সরাতে যা করণীয় তাই নিয়ে আলোচনা হবে। আসন রফা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর বলেছেন আমি যা বলেছি তাতে তাই বোঝায়। এই অংশগুলো থাকবে।'


কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, 'ওঁরা ইন্ডিয়া জোটে তো শরিক। রাহুল গাঁধীর প্রোগ্রামে এসেছিলেন। ভোট আসছে, ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা বসতেই পারে।'


২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময়ও আসন সমঝোতা (Seat Sharing) নিয়ে আলোচনায় বসেছিল সিপিএম-কংগ্রেস (CPIM Congress Alliance)। কয়েকটি আসন নিয়ে দু'পক্ষ অনড় থাকায় ভেস্তে যায় আলোচনা। মুর্শিদাবাদ আসনটি ছাড়তে নারাজ ছিল দু'পক্ষই। এবারও জঙ্গিপুর নিয়ে জট তৈরি হলে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।


আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে বাংলার জন্য সবচেয়ে বেশি বাহিনী চাইল কমিশন