কলকাতা: খাবার খেতে বসেছেন। খাবারের দিকে মন নেই‌। মাথায় ঘুরছে অন্য চিন্তা। এদিকে খাবার শেষের মুখে‌ । খুব অল্প সময়েই খাওয়া শেষ হয়ে গেল। পেটও ভরল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবার মনে হচ্ছে কিছু খাই কিছু খাই। খাবার খেতে ইচ্ছে করছে ভীষণ। আবার কিছু খেলেন। তাড়াতাড়ি খেলেন। একইভাবে মাথায় ঘুরছে অন্য চিন্তা। অথবা খেতে খেতে কোনও একটা কাজ করছেন। খাওয়া শেষ। আবার কিছুক্ষণ পর…..। এই অভ্যাসটার সঙ্গে অনেকেই আজকাল পরিচিত। হাতের কাছে টুকটাক খাবার কিনে রাখা এখন সহজ। ছোটখাটো স্ন্যাকস তাই ঘন ঘন মুখ চালাতে জ্বালানি সাজে। 


কাজের চাপ ও স্ট্রেস


কাজের চাপ বাড়ছে। বাড়ছে দায়িত্ব। আর স্ট্রেসো যেন মাথায় চেপে বসছে। এই স্ট্রেস আমাদের কখনও কখনো পাগল করে দেয়। আর ঠিক সেই সময়েই আমাদের অন্য কিছু করতে ইচ্ছে করে। এমন কিছু যা আমাদের মন ভালো করে দিতে পারে। মন কিছুটা হালকা করে দিতে পারে। অনেকেই এই সময় নিজের পছন্দ মতো এক একটা জিনিস বেছে নেন। কেউ একটু ঘুমিয়ে নেন। কেউ নিজের পছন্দের কাজ করেন। কেউ কাজের বাইরে বেরোতে চান। তাই একটু ঘুরে আসেন। আবার কেউ নিজের পছন্দের খাবার খান। 


ইমোশনাল ইটিং


ইটিং তো ইটিং। তার আবার ইমোশনাল কী ? আছে! স্ট্রেস একটি বড় ভূমিকা পালন করে এই ধরনের খাবার খাওয়ার সময়‌। ইমোশনাল ইটিং-এর কিছু বিশেষ চরিত্র রয়েছে। যা দেখে সমস্যাটিকে শনাক্ত করা যায়। 



  • খিদে না পেলেও খাবার খাওয়ার প্রবণতা।

  • অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছে।

  • ঘন ঘন খাবার খাওয়ার ইচ্ছে।

  • দ্রুত খাবার খাওয়া।

  • খাবার খাওয়ার সময় অন্য কাজ বা চিন্তা করতে থাকা। 

  • শরীর খারাপ হতে পারে জেনেও খাওয়া

  • খাবারটা খেয়ে মন ভালো লাগছে, এমনটা মনে হওয়া। 

  • এবং আদৌ মনের সেই ভালো লাগা স্থায়ী না হওয়া!


এই ধরনের খাবার খাওয়াতে 



  • শরীরের ওজন বাড়তে থাকে। 

  • বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে থাকে।

  • এমনকি মানসিক সমস্যাও হতে পারে।

  • দেখা দিতে পারে দুশ্চিন্তা ও অবসাদের মতো সমস্যা


মন দিয়ে খাওয়া 


ইমোশনাল ইটিং-এর ঠিক উল্টোটা হল মন দিয়ে খাওয়া বা মাইন্ডফুল ইটিং। ইমোশনাল ইটিং-এ অনেকেই মনে করেন, পেট ঠিকমতো ভরেনি বলে আবার খাচ্ছেন। কিন্তু আসল বিষয়টি হল মন দিয়ে খাওয়া হয়নি। খাবার খাওয়ার সময় মন রাখতে হবে খাবারেই। পাতে থাকা খাবারের স্বাদ অনুভব করতে হবে প্রতি গ্রাসে। অন্য কাজ করা যাবে না। ভাবা যাবে না অন্য কিছু। ইটিং মাইন্ডফুল হলে ইমোশনাল ইটিং-এর সমস্যা অনেকটাই কমে। তাই চিকিৎসকরা এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।‌


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Leg Cramping Or Pain: ঘন ঘন পায়ে টান ধরছে ইদানিং ? কীসের লক্ষণ এটি