অনির্বাণ বিশ্বাস, পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : বেহালা পশ্চিম ( Behala West ) বিধানসভা কেন্দ্রের ( West Bengal Assembly )  বিধায়ক পদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ( Partha Chatterjee ) অপসারণের দাবিতে পথে নামল সিপিএম ( CPM ) । 'চোর তাড়াও, বেহালা বাঁচাও' স্লোগান তুলে এবার বাড়ি বাড়ি গেলেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। বিলি করলেন লিফলেট। 


বার্ধক্য ভাতা, স্কলারশিপ, কন্যাশ্রী, বিধবাভাতা, দুয়ারে সরকার, বিভিন্ন কাজে বিধায়কের সহায়তা প্রয়োজন হয়। সেই সব কাজ থমকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বাম সমর্থকদের। 


 সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির তরফে লিফলেটে লেখা হয়েছে, 'আস্ত শিক্ষা দফতরটাই গারদের ভিতরে দাগী দুষ্কৃতীদের সঙ্গী। বেহালা  পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দি।' সিপিএমের প্রশ্ন, 'এই অবস্থায় বিধায়কের শংসাপত্র ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা পেতে বেহালার মানুষ কী প্রেসিডেন্সি জেলের দরজায় মাথা ঠুকবেন? বিধায়ক তহবিলের টাকা সরকারি কোষাগারে পড়ে নষ্ট হোক, বেহালার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাক, তা সাধারণ মানুষ চান না। এর প্রেক্ষিতে বিধায়ক পদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে সিপিএমের তরফে লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। ' 


নিয়োগ দুর্নীতির ( Recruitment Scam ) মামলায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ( Arpita Mukherjee )  দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ ও সোনা ও হিরের অলঙ্কার উদ্ধার এবং তাঁর গ্রেফতারির ৬ দিন পর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ( Partha Chatterjee )  মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়! যদিও আজও পর্যন্ত দলের বিরুদ্ধে একটিও কথা বলা তো দূরে থাক, দলের পক্ষেই বারবার মন্তব্য করে গিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে দলেরই একাধিক নেতা। বিধায়ক পদে এখনও রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বিধায়কের সাহায্যথেকে বঞ্চিতই থাকতে হবে তাঁর এলাকার মানুষকে। তাই বিধায়ক পদ থেকে পার্থকে অবসারণের দাবি শনিবার পথে নামল সিপিএম। স্লোগান উঠল, 'চোর তাড়াও, বেহালা বাঁচাও'

বিরোধীরা বঙ্গে ক্রমাগত দুর্নীতি অস্ত্রে আঘাত হানছে রাজ্যের শাসক দলের উপর। এই পরিস্থিতিতে দুদিন আগে দল থেকে কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করা হয় । 


আরও পড়ুন :                             


শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশকে প্রশ্ন ইডির, ফ্ল্যাট-বাগানবাড়ি-গেস্ট হাউস নতুন করে মিলল বিশাল সম্পত্তির হদিশ