শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুকুরে ঢুকে পড়ল কুমির (Crocodile In Pond), আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গোসাবা (Gosaba) থানার বিপ্রদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্মথনগরের ঘটনা। সেখানকার সন্তোষ বর্মন নামে এক ব্যক্তির পুকুরে কুমির ঢুকে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।


কী ঘটেছিল?
রবিবার রাত। হঠাৎ গ্রামবাসীদেরই কয়েকজন লক্ষ্য করেন, সন্তোষের বাড়ি লাগোয়া, তাঁর পুকুরের পাড়ে, একটি বিশাল কুমির শুয়ে রয়েছে। আতঙ্কে শিউরে উঠলে সম্বিৎ হারাননি তাঁরা। দ্রুত খবর পাঠান গোসাবা রেঞ্জে। কিন্তু গ্রামবাসীদের আওয়াজে কুমিরটি পুকুরের জলে নেমে নেমে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, মন্মথনগর গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। সেই নদী থেকে উঠেই সম্ভবত মন্মথনগর গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল কুমিরটি। খবর পেয়ে গোসাবা রেঞ্জের কর্মীরা পৌঁছন সেখানে। কুমিরটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। যতক্ষণ পর্যন্ত তার হদিশ না মিলছে, আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের মানুষ।


মাসদুয়েক আগে এক ঘটনা...
মাসদুয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনারই পাথরপ্রতিমার দিগম্বরপুরে এমনই একটি ঘটনায় ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছিল স্থানীয়দের মধ্যে। সে বার পঞ্চমেরবাজার এলাকায় বাসুদেব ঘড়ার পুকুরে একটি কুমির ভেসে থাকতে দেখেন এলাকারই কেউ কেউ। বিষয়টি চাউর হতে সময় লাগেনি। পাল্লা দিয়ে ছড়ায় আতঙ্কও। যার পর থেকেই পুকুরপাড়ে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় জমান। শেষমেশ বন দফতরের রামগঙ্গা রেঞ্জে খবর পাঠানো হয়। বনকর্মীরা এসে জাল দিয়ে কুমিরটিকে বন্দি করেন। বনকর্মীদের ধারণা, পাশের জগদ্দল নদী থেকে কুমিরটি পুকুরে ঢুকেছিল। কিন্তু এভাবে মানুষের ব্যবহার্য পুকুরে তার ঢুকে পড়ায় আতঙ্কের আবহ সর্বত্র। ভবিষ্যতে যে এরকম আর কখনও ঘটবে না, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা রয়েছে কি? প্রশ্ন করছেন স্থানীয়রাই। গত বছর অক্টোবরেও বাড়ির পুকুরে কুমির চলে আসায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। অবশেষে বন দফতরের কর্মীরা কুমিরটিকে ধরে নিয়ে যান। সেটিকে ছাড়া হয় বনি ক্যাম্পের কাছে একটি খালে। স্থানীয় বাসিন্দা অনিল দাসের বাড়ির পুকুরে ঘটনার দিন সকালে কুমির দেখে প্রতিবেশীদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে কুমিরের আতঙ্ক। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। চলে আসেন বন দফতরের কর্মীরাও। তারপর নানা কসরত করে জাল দিয়ে অবশেষে কুমিরটিকে বাগে আনা সম্ভব হয়েছিল। সেটিকে বন দফতরের কর্মীরা রায় দিঘির রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যান। 


আরও পড়ুন:প্রচণ্ড গরমেও হবে না সমস্যা, ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে যদি নেন এই ব্যবস্থা