অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: আজ সকালেই বঙ্গোপসাগরে (BaY of Bengal) তৈরি গভীর নিম্নচাপ (depression) পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) অশনি-তে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে, ততই কমছে ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে পৌঁছনোর পর পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে ঘূর্ণিঝড় অশনি। সমুদ্রেই গতিপথ বদলানোয় ক্রমশ শক্তিক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড়ের। সমুদ্রের মধ্যেই দিশা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাতে অবশ্য অশান্ত থাকবে সমুদ্র।


কোথায় প্রভাব:
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এখনও পর্যন্ত যা সম্ভাবনা তাতে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhrapradesh), দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৫ কিলোমিটারে মতো। তবে বাংলায় সরাসরি সাইক্লোন অশনির প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে ঝড়ের তেমন সম্ভাবনা না থাকলেও রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বইবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। সেই কারণেই পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির (Rainfall) পরিমাণ বাড়তে পারে।


সতর্ক প্রশাসন:
এখনও ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও আয়োজনে খামতি রাখতে চাইছে না জেলা প্রশাসনগুলি। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলছে সতর্কবার্তা প্রচার। মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেও প্রস্তু.ি নেওয়া হচ্ছে। উপকূলবর্তা জেলাগুলিতে ত্রাণ শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রিপল ও খাবারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রতিটি ব্লকে সাবধানতা, কুইক রেসপন্স টিম। বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চলছে। দুর্যোগ মোকাবিলার আয়োজন চলছে। যাদের বাড়ি দুর্বল বা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে তাদের জন্য ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। অতীতের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি কথা বিবেচনা করে আপাতত মেদিনীপুরের পুরসভার কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং মহকুমার ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা অঞ্চলের মধুখালী এলাকায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করেছেন মহকুমা শাসক। যে সমস্ত নদীবাঁধ ক্ষতবিক্ষত ও দুর্বল অবস্থায় রয়েছে সেগুলিকে দ্রুত মেরামতি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদেরকে সচেতন করা হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকার স্কুল ও ফ্লাড সেন্টারগুলোকে (Flood Centre) খুলে রাখা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: তারাতলা উড়ালপুলে বড়সড় গর্ত, একদিকের লেনে বন্ধ যান চলাচল