কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : জলবন্দি খোদ শাসক সাংসদ। লেক গার্ডেন্সে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির চত্বর জল থইথই। নিজেই নেমে এলেন রাস্তায়। বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি বলে আক্ষেপ সৌগতর।


সৌগত বলেন, "আমি তো দেখলাম কলকাতা পুরসভা, SSKM হাসপাতালেও জল জমে গিয়েছে। বৃষ্টি খুব বেশি হচ্ছে। তাই, এই জল জমাটা আশ্চর্যের নয়। এই রাস্তাটায় এমনিতেই অন্য জায়গার থেকে বেশি জল জমে। আমাদের স্থানীয় পৌরমাতাকে আজই জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন এই যোধপুর পার্ক জোনে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ৭৬ মিলিমিটার। সেই জায়গায় মোমিনপুর ৭০ মিলিমিটার। সেই জলটা আনোয়ার শা রোডের বক্স ড্রেন দিয়ে বেরনোর কথা। কিন্তু, বক্স ড্রেনের কাজ হচ্ছে। তাই সবটা বেরোতে পারছে না। এই জন্য জল বেশি হয়েছে। আশা করি, রাতের মধ্যে কমে যাবে।"


শাসক দলের সাংসদের বাড়ির নীচে এরকম জল জমে আছে ?


সৌগত বলেন, "আমি তো আলাদা করে নিজের বাড়ির সামনের জলটা পরিষ্কার করতে পারব না। যা দেখছি, লেক গার্ডেন্সের এই জায়গাটায় জলটা বেশি জমেছে। সেটা কী করা যাবে ? আমি বরাবর এই সমস্যা দেখছি। বৃষ্টি বেশি হলে আমাদের এই বাড়ির সামনের রাস্তাটায় বেশি জল জমে। আগে বলেছি। দু'-একবার কাজও হয়েছে। আনোয়ার শা রোডের ড্রেনগুলো ঠিক না হলে এখানকার ঠিক হবে না। অতীতে বলেছি। জলের ছবি একই আছে। কী করা যাবে !"


কলকাতার 'জল-যন্ত্রণা' !


'জল-যন্ত্রণা'র চেনা ছবি ! ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে কলকাতায় সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতার অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জল জমে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ঘূর্ণিঝড় 'দানা'-র প্রভাবে ভোর থেকে টানা বৃষ্টি। তার জেরে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ক্রসিং জলমগ্ন। রাস্তার এক প্রান্ত দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। কারণ, অন্য প্রান্তে জল জমে একাকার। এর পাশাপাশি শ্যামবাজার-সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ জায়গা, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, স্ট্র্যান্ড রোড সংলগ্ন নর্থ পোর্ট থানা সংলগ্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির ঠিক পাশে বিধান সরণিতে জমেছে জল। জল সরানোর জন্য সুপার সাকশন পাম্প পাঠানো হয় কলকাতা পুরসভা থেকে। দক্ষিণ কলকাতারও বিভিন্ন জায়গায় জল জমে গিয়েছে।


তবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।