Cyclone Dana News Live Updates: দানার প্রভাবে একবেলার বৃষ্টিতে চেনা ছবি কৈখালির, জলের তলায় ভিআইপি রোড লাগোয়া চত্বর
West Bengal Weather Update : ঝড় আসে, ঝড় যায়। এখনও কাঁচা ঘরেই ঠায়। ভয়ে কাঁটা উপকূল। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেড় লক্ষের বেশি মানুষের। দেখুন, ঘূর্ণিঝড় 'দানা'-র প্রতি মুহূর্তের খবরের আপডেট
দানার প্রভাবে একবেলার বৃষ্টিতে চেনা ছবি কৈখালির। জলের তলায় ভিআইপি রোড লাগোয়া চত্বর।
দানার প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে জল জমার চেনা ছবি বেহালায়। জলবন্দি সরশুনা। ভোগান্তির শিকার স্থানীয়রা।
জলবন্দি খোদ শাসক সাংসদ। লেক গার্ডেন্সে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির চত্বর জল থইথই। নিজেই নেমে এলেন রাস্তায়। বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি বলে আক্ষেপ সৌগতর।
সৌগত বলেন, আমি তো দেখলাম কলকাতা পুরসভা, SSKM হাসপাতালেও জল জমে গিয়েছে। বৃষ্টি খুব বেশি হচ্ছে। তাই, এই জল জমাটা আশ্চর্যের নয়। এই রাস্তাটায় এমনিতেই অন্য জায়গার থেকে বেশি জল জমে। আমাদের স্থানীয় পৌরমাতাকে আজই জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন এই যোধপুর পার্ক জোনে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ৭৬ মিলিমিটার। সেই জায়গায় মোমিনপুর ৭০ মিলিমিটার। সেই জলটা আনোয়ার শা রোডের বক্স ড্রেন দিয়ে বেরনোর কথা। কিন্তু, বক্স ড্রেনের কাজ হচ্ছে। তাই সবটা বেরোতে পারছে না। এই জন্য জল বেশি হয়েছে। আশা করি, রাতের মধ্যে কমে যাবে।
বাংলার উপকূলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। সকাল থেকে গোটা সুন্দরবনজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে দমকা হাওয়া। আজ গোটা জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রমের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর মেলা মাঠ জল থই-থই। সাগর এবং কাকদ্বীপেও তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরে বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চালাচ্ছেন। পূর্ব ঘোষণা মতো সকাল ১০টা থেকে নামখানা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সাগর, কাকদ্বীপ-সহ সুন্দরবনজুড়ে আজও ফেরি চলাচল বন্ধ। গোসাবাতেও বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
দানার প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। উপড়ে গেছে প্রায় ১৭৫টি বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই অনেক এলাকায়।
টানা বৃষ্টিতে জল থইথই রাজ্যের ১ নম্বর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। কার্ডিওলজি, প্রসূতি বিভাগের সামনে জমে জল। হয়রানির শিকার চিকিৎসা করাতে আসা সাধারণ মানুষ।
'নিচু এলাকা থেকে ২ লক্ষ ১৬ মানুষকে সরানো হয়েছে'। 'কয়েকটি জেলায় কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে, চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।' কৃষকদের ক্ষতি নিয়ে সমীক্ষার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
'
ঘূর্ণিঝড় দানার গতিপ্রকৃতি ও আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। অথচ টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কলকাতা পুরসভা চত্বরই।
আশঙ্কা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় দানার বিশেষ প্রভাব পড়ল না বাংলায়। ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করে ওড়িশাতেই 'অ্যারেস্ট' ঘূর্ণিঝড়। সকালেই ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শেষ করে ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ঝড়ের দাপট না থাকলেও বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পূর্ব মেদিনীপুরে। উপকূলবর্তী এলাকায় ৮০ থেকে ৯০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
নন্দীগ্রাম-খেজুরি-এগরায় ভাঙল গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি।
ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে কলকাতায় সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি। জল জমেছে ঠনঠনিয়ায়।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়েছে দূরপাল্লার বাস পরিষেবায়। যাত্রী সংখ্য়া কম হওয়ায় বহু বাস বাতিল করা হয়েছে। থমথমে বাবুঘাট বাস টার্মিনাস।
কলকাতা বিমানবন্দরে শুরু হল বিমান পরিষেবা। তবে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বাতিল হয়েছে বহু উড়ান। তার জেরে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের।
দুর্যোগের কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ লোকাল। বাতিল বহু দূরপাল্লার ট্রেন। স্টেশনে অপেক্ষায় যাত্রীরা।
জেলাশাসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের অবস্থা সবথেকে খারাপ। দিঘায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি, সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। একই অবস্থা মন্দারমণি এবং তাজপুরে। মন্দারমণিতে নিচু এলাকায় প্রচুর পরিমাণে নোনো জল ঢুকে গিয়েছে। ঝড়ের দাপটে প্রচুর গাছপালা পড়েছে। অন্যদিকে, বকখালিতেও প্রবল জলোচ্ছ্বাস, বৃষ্টি হচ্ছে। হিঙ্গলগঞ্জ, টাকি, গোসাবা, সাগর, নামখানা ...এইসব জায়গাতেও প্রায় একই রকম অবস্থা। বনগাঁয় বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আগেই সেখানে বিভিন্ন এলাকায় জল জমে ছিল। সেখানে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে পরিষ্কার করে বলা সম্ভব নয়। যত বেলা বাড়বে অ্য়াসেসমেন্ট হবে। তারপরে সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে, ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ১১ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। ১ হাজার ২২৭টি ত্রাণ শিবির সরকারের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে। যেসব এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে অস্থায়ীভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন থেকে অনবরত নজরদারি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছুক্ষণ আগে ৭টি জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। জেলাগুলি হল- পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া। জেলাশাসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের অবস্থা সবথেকে খারাপ। দিঘায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি, সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। একই অবস্থা মন্দারমণি এবং তাজপুরে। মন্দারমণিতে নিচু এলাকায় প্রচুর পরিমাণে নোনো জল ঢুকে গিয়েছে। ঝড়ের দাপটে প্রচুর গাছপালা পড়েছে। অন্যদিকে, বকখালিতেও প্রবল জলোচ্ছ্বাস, বৃষ্টি হচ্ছে। হিঙ্গলগঞ্জ, টাকি, গোসাবা, সাগর, নামখানা ...এইসব জায়গাতেও প্রায় একই রকম অবস্থা। বনগাঁয় বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আগেই সেখানে বিভিন্ন এলাকায় জল জমে ছিল। সেখানে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে।
আশঙ্কা ছিলই। সেইমতোই তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'দানা।' ওড়িশার ভদ্রকে তীব্র বেগে ঝড়, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃষ্টি। জনমানবশূন্য রাস্তাঘাটে কার্যত ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে 'দানা'। ভদ্রক জেলায় ৮টি ব্লক রয়েছে। তার মধ্যে ২টি নিচু এলাকা। গতকাল ১১টা নাগাদ ল্যান্ডফল হয় এবং পরে রাত ২টো নাগাদ সমুদ্রে হাই টাইডের জেরে নিচু এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। ফলে, ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্থানীয় সামুদ্রিক অভয়ারণ্যে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভদ্রক, বালেশ্বর, পুরী-সহ ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি শোচনীয়। স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া ঝোড়ো হাওয়া তীব্র গতিতে ভিতরকণিকার দিকে এগোচ্ছে। ধামারায় ইতিমধ্যেই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। ভিতরকণিকার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে সাইক্লোন শেল্টারে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়েছে ওড়িশা সরকার।
ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড পূর্ব মেদিনীপুর। বহু জায়গায় ভাঙল গাছ। জলোচ্ছ্বাসে মন্দারমণির নিচু জমিতে ঢুকল নোনা জল। ঝড়ের দাপট বকখালিতেও।
বঙ্গোপসাগরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল 'দানা'। ওড়িশার ধামারা থেকে ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা : আছড়ে পড়ল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। রাত ১১.৩০ নাগাদ থেকে শুরু হয়ে যায় ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া। 'দানা'র দাপটে উত্তাল দিঘার সমুদ্র, প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। বন্ধ মেরিন ড্রাইভ। ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড পূর্ব মেদিনীপুর। বহু জায়গায় ভাঙল গাছ। জলোচ্ছ্বাসে মন্দারমণির নিচু জমিতে ঢুকল নোনা জল। ঝড়ের দাপট বকখালিতেও। দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন। নবান্ন থেকে পুরসভা-লালবাজারে কন্ট্রোলরুম। রাতভর নবান্নেই মুখ্যমন্ত্রী। পুরসভা থেকে নজরদারিতে মেয়র। রাতে বিদ্যুৎভবনেই অরূপ বিশ্বাস।
শুরু ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া: পূর্বাভাস ছিল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ল্যান্ডফল শুরু হবে। সেই মতো গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শুরু হয় ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া। ৪ ঘণ্টা ধরে অর্থাৎ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চলবে এই ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া। যত সময় এগোচ্ছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র।
দানার হানার মোকাবিলায় সতর্ক রেল থেকে বিমান। আগেই ট্রেনের চাকায় শিকল পড়েছিল। আর পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হওয়ার আশঙ্কায় ১৪ ঘণ্টার জন্য শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা অবধি বন্ধ থাকছে লোকাল ট্রেন। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বাতিল করা হয়েছে ১৯০ টি লোকাল ট্রেন। শিয়ালদার পাশাপাশি শুক্রবার ভোর ৪টে থেকে সকাল ১০ টা পুর্যন্ত হাওড়ার পূর্ব শাখায় ৬৮ টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -