অমিত জানা, দাঁতন: ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রেহাই পেলেও ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। দানার তাণ্ডবে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি। জমা জলে পড়ে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
জলের তলায় ধান জমি: দানার প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হল ৷ আমন ধান চাষে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মুখে পড়তে হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন এলাকার চাষীদের। গতকাল রাত থেকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বিঘার পর বিঘা জমি ক্ষতি হয়েছে। কোথাও জলে ডুবে রয়েছে ধান জমি। তাও আবার ধান গাছ শুয়ে। দাঁতনের অধিকাংশ মানুষ ধান চাষের উপরে নির্ভরশীল। এই অবস্থায় মাথায় হাত পড়েছে ধান চাষীদের৷ ধান চাষ করে পেটে চলে হরিহর শ্যামলের। তিনি বলেন, "প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কতা জারি আগে থেকেই করা হয়েছিল। রাত দুটো থেকে বৃষ্টি এবং ঝড়ো হওয়া শুরু হওয়ার কারণে ধান জমির উপর জল জমে গেছে। তাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ বিঘা ধানের জমি জামুয়াপতি এলাকায় নষ্ট হয়েছে। আর কয়েক মাস পরে ধান উঠতো ঘরে। তাই মাথায় হাত।'' সমস্তটাই ধানের উপর নির্ভরশীল। ধানের ক্ষতি হয়ে গেলে কী হবে ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না চাষিরা। যদিও ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। কৃষকদের কাছ থেকে লিখিত নথি জমা পড়লে প্রশাসন সঠিক ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র তাণ্ডবে পূর্ব মেদিনীপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এগরা, খেজুরি ১ নম্বর ব্লক, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সাড়ে ৩০০-৪০০টি কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। আড়াইশোরও বেশি গাছ ভেঙেছে। উপড়ে পড়েছে ১৭৫টি বিদ্যুতের খুঁটি। নন্দীগ্রামের বাহাদুরপুরে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছ। এছাড়া, মন্দারমণি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সমুদ্রের জল ঢুকে যায়। চাষের জমিতে নোনা জল ঢোকায় ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা। দিঘায় আজ সকাল থেকে মেঘলা আকাশ, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। আজও সমুদ্র স্নান ও সৈকতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।