সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: আলোর উৎসবে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। কালীপুজো কি তাহলে মাটি হবে? অন্তত তেমনই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। 


ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা:
দীপাবলিতে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। এখন আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তা আগামীকাল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখছে আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপের জেরে কলকাতা ও উপকূলবর্তী জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 


উত্তরবঙ্গের জেলার তাপমাত্রা


• দার্জিলিঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• কালিম্পঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• কোচবিহার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 
• জলপাইগুড়ি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• আলিপুরদুয়ারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।



দক্ষিণবঙ্গের জেলার তাপমাত্রা


• পুরুলিয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• বর্ধমানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• নদীয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• পশ্চিম মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আজ বুধবার, পূর্ব মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমবেশি ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। আজ সারাদিন আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সকাল থেকেই রোদের দেখা মিলবে। সামান্য মেঘ দেখা যেতেও পারে, তবে তার জন্য রোদ কমবে না। এদিন জেলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সন্ধের পরেও আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হবে না। এদিন সন্ধে বা রাতের দিকেও জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। যার ফলে চাষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। তবে অগাস্টে সেই ছবি বেশ কিছুটা বদলেছে। সেপ্টেম্বরে একের পর এক নিম্নচাপ। অক্টোবরে পুজোর মধ্যেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। সব মিলিয়ে কি মহানগরের বৃষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে এই মরসুমে?।


আরও পড়ুন: সামনেই পঞ্চায়েতের লড়াই, রাস্তায় বিজেপি, বামেদের ভরসা আন্দোলনে