সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বাংলার আকাশে কাটল দুর্যোগের মেঘ। দশমীর রাতেই প্রবেশ করল বাংলাদেশে হামুন। মধ্যরাতে বাংলাদেশ উপকূলে ল্যান্ডফলের সময় সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার।  আপাতত পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগের কোনও আশঙ্কা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এবার ধীরে ধীরে কমবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। বাড়বে শীতের আমেজ।  


পুজোর সময়েই বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। হামুনের প্রভাবেই এমন বৃষ্টি দেখেছিল বাংলা। নবমীর দিন বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং লাগোয়া কিছু জেলা। পুজোর শেষ পর্বে ভরপুর বৃষ্টি হবে কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্যোগ কাটল। বাংলাদেশে পৌঁছল হামুন। সামান্য প্রভাব পড়লেও বাংলায় সেই অর্থে ভারী বৃষ্টি বা দুর্যোগের আশঙ্কা নেই।        


 বাংলায় প্রভাব কম পড়লেও উপকূলের জেলায় সামান্য বৃষ্টি চলতে পারে। তারই মধ্যে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন। এই ঝড়ের নাম দিয়েছে ইরান। এটাই দিক পরিবর্তন করে ঝড় এগিয়েছে বাংলাদেশের দিকে। শক্তি বাড়ালেও বাংলা থেকে দূরে সরেছে হামুন। তাই তার প্রভাব কমেছে রাজ্যে।        


দশমীর সকাল থেকেও মাঝেমধ্যে নেমেছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টি। কিন্তু সেই বৃষ্টিকে উড়িয়েই ছাতা মাথায় দিয়েই চলেছে ঠাকুর দেখা। দশমীর পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতায় দু’-এক পশলা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা। দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি-সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা এবং মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বুধবার শক্তিক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপ হয়ে বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও চট্টগ্রামের ভিতর দিয়ে স্থলভাগে ঢুকেছে। বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।


বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather): গত বছর পুজোয় যে ভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছিল, সেই ছবিটা অন্তত এই বছর পুজোয় ফিরল না। মহানবমীতে মহানগরে হালকা বর্ষণ হলেও তাতে উৎসবের আনন্দে কোনও বাধা হয়নি। এবার অপেক্ষা লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোর। সেগুলিও নির্বিঘ্নে কাটাতে পারবে তো মহানগর?


আরও পড়ুন: পুরোহিত পদের প্রশিক্ষণ পর্বেই এই টাকা! রাম মন্দিরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কী কী?