কলকাতা: বছরের বেশিরভাগ দিনই প্রায় বৃষ্টিতেই কেটেছে দক্ষিণবঙ্গে। হেমন্তে পেরিয়ে শীতের আগমনের আগেই ফের বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতাও জারি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর বলছে, সোমবার তৈরি ঘূর্ণিঝড়। যা সেটা অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। অন্ধ্রের কাকিনাড়ায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় 'মান্থা'। এদিনই সুস্পষ্ট নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং রবিবার গভীর নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর জেরে বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। এরপর মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও রয়েছে।
আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে এটি ভয়ানক রূপ নেবে এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মান্থা’, যা থাইল্যান্ড প্রস্তাব করেছে। থাই ভাষায় ‘মান্থা’ শব্দের অর্থ “সুগন্ধি ফুল” বা “সুন্দর ফুল”। উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড় নামকরণের ধারাবাহিকতায় এই নামটি ব্যবহৃত হবে, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। এই সমস্ত জেলায় সতর্কতা জারি রয়েছে। বুধবার হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় সতর্কতা জারি হয়েছে। মঙ্গল এবং বুধবার দক্ষিণের সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা-সহ সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। দোসর হবে বজ্রঝড় ও ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া।
বৃহস্পতিবারও বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। এই সমস্ত জেলাতেও সতর্কতা জারি থাকছে।
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি হবে। জলপাইগুড়িতে বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার।