শান্তনু নস্কর, গোসাবা: রেমালের তাণ্ডবে (Cyclone Remal Effect) ভেঙেছে দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল গোমর নদীর বাঁধ। আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার পাখিরালয় গ্রামের বাসিন্দাদের। সেচ দফতর ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানানো সত্ত্বেও কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ হয়নি, অভিযোগ খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়ের। সেচ দফতরের সহায়তায় অস্থায়ী বাঁধ মেরামতিতে নেমেছেন আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। 'বাঁধে মাটি দেওয়ার কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক গ্রামবাসী। তাঁকে গোসাবা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


প্লাবনের আশঙ্কা গ্রামবাসীদের: এমনিতেই বেহাল ছিল নদীবাঁধ, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে এবার তা ভেঙে পড়েছে। প্লাবনের আশঙ্কায় রাতের ঘুম ছুটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার পাখিরালয় গ্রামের বাসিন্দাদের। আর এই পরিস্থিতির জন্য, প্রশাসনের একাংশকেই দায়ী করলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দেবপ্রসাদ সরকার। তিনি বলেন, "আমরা জানিয়েছি প্রশাসনিক থেকে উপরে সেচ দফতর, SDO থেকে শুরু করে প্রত্য়েককেই আমরা জানিয়েছি। কাজ হচ্ছে না।'' দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে রয়েছে। স্থানীয় গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতি এবং রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতেও শাসক দলের বোর্ড। কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ না হওয়ার জন্য় সেচ দফতর ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের দুষলেন রাঙাবেলিয়া পঞ্চায়েতের সদস্য়। তাঁর অভিযোগ, "আয়লার বাঁধ, সেটাও যেমন দরকার, সেচ দফতর থেকে ব্লক পিচিং বলছে, গার্ড করে মাটিটাকে, যাতে না ধুয়ে যায়। এই ব্লক পিচিংটা যদি না হয়, তাহলে সুন্দরবনের মানুষ খুব বেহাল অবস্থায় পড়বে। প্রতিনিয়ত নোনা জলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া খুবই কষ্টকর।''                 

যদিও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কৈলাস বিশ্বাস। তিনি বলেন, "গোসাবা ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতি এবং সেচ দফতরের যৌথ উদ্য়োগে গোসাবা ব্লকের নদীবাঁধগুলোর কাজ হয়েছে। রাজ্য় সরকার যতটা সম্ভব সব দিক দিয়ে সাহায্য় করেছে নদীবাঁধ যাতে ভাল থাকে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয়নি বলে আজকে কংক্রিকেট বাঁধের জন্য় রাজ্য় সরকার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দিচ্ছে না।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Cyclone Remal Effect: রেমালের প্রভাবে জলমগ্ন সবজির ক্ষেত, শঙ্কায় নন্দীগ্রামের কৃষকরা