সুমন ঘড়াই, কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলল নবান্ন। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ আইএএস অফিসারকে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের।
কখনও ইয়াস কখনও ফণী আবার কখনও আমফান একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে তছনছ হয়েছে জনজীবন। সব হারানোর হাহাকার আর চোখের জল সঙ্গী করে দিন কেটেছে অসংখ্য মানুষের।
সাগরে এবার চোখ রাঙাচ্ছে সিত্রাং পুরনো ক্ষয়ক্ষতি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে রাজ্য-প্রশাসন। শনিবার, নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
নবান্ন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ আইএএস অফিসারকে। নবান্নে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম, যার নম্বর 5858। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। জেলায় জেলায় তৈরি রাখা হচ্ছে সাইক্লোন শেল্টার, পানীয় জলের মোবাইল ইউনিট।
নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও সরকারি হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত কর্মী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪ অক্টোবর সর্বোচ্চ ৬৫ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ২৫ অক্টোবর দুই ২৪ পরগনায় সর্বোচ্চ ৯০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। সুন্দরবন এলাকায় ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ধেয়ে আসার আশঙ্কা। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। সুন্দরবন কোস্টাল থানার তরফে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি, নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হলে, কাছাকাছি ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের অভিমুখ উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিক। পরে অভিমুখ বদলে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড় হিসাবে। প্রথমে ওড়িশা, তারপর পশ্চিমবঙ্গের উপকূল স্পর্শ করে ঘূর্ণিঝড় যাবে বাংলাদেশের দিকে। ২৫ অক্টোবর সকালে বাংলাদেশ উপকূল পেরবে।