সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। সোমবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় হয় কিনা সেদিকে নজর রাখছে মৌসম ভবন। যদিও আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে এবং সেই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূল বরাবর থাকার সম্ভাবনা। এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে নাম রাখা হবে, মোকা।  


এ যেন জন্মের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে শিশু! সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাকে ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ। গত ৪ বছরে মে মাসে ৪টি বড় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। অতীতের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগেই সতর্ক থাকতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। 



  • ২০১৯ সালে ফণী

  • ২০২০ সালে আমফান

  • ২০২১ সালে ইয়াস


নতুন বছরেও কি ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে বাংলা? ঘূর্ণিঝড় মোকা কি সত্যিই ধেয়ে আসতে পারে? তীব্র তাপদাহ থেকে কিছুটা রেহাই মেলার পর, যখন সবে স্বস্তি এসেছে, তার মধ্যেই এবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়! 


বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আবহবিদদের একাংশের আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড় মোকা তৈরি হলে তা ফণীর মতোই বিধ্বংসী হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


সোমবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা, সেদিকে নজর রাখছে মৌসম ভবন। যদিও আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে এবং সেই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূল বরাবর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, তার নাম হবে মোকা। এই নামকরণ করেছে ইয়েমেন। স্বাভাবিকভাবেই এই পূর্বাভাসে অশনিসঙ্কেত দেখছে পশ্চিমবঙ্গ। গত ৪ বছরে মে মাসেই ৪টি বড় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। তার মধ্যে আমফান ও ইয়াস আছড়ে পড়েছিল রাজ্যে। এবারও কি মে মাসেই ঘনিয়ে আসছে বিপদ? 


গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা, কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু জানায়নি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি না হলেও, আগেভাগেই সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। 


মঙ্গলবার নবান্নে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় প্রচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সাইক্লোন সেন্টারগুলির কী পরিস্থিতি তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে NDRF এবং SDRF-কে। সেচ দফতরকে বলা হয়েছে নদীবাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। পর্যাপ্ত ত্রিপল, ওষুধ, শুকনো খাবার মজুত রাখতে বলা হয়েছে।