সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হলেন D বাপি বিরিয়ানির অন্যতম কর্ণধার ও উত্তর ২৪ পরগনার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অনির্বাণ দাস। গুদাম মালিককে মারধর ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অনির্বাণের নিরাপত্তা রক্ষীর খোঁজ চলছে। (D Bapi Biriyani Barrackpore)
মধ্যমগ্রামের বাদামতলার বাসিন্দা ও পুরসভার কর্মী বিশ্বজিৎ দত্তর সঙ্গে গুদাম ভাড়া নিয়ে ১১ মাসের চুক্তি হয় D বাপি বিরিয়ানির অন্যতম কর্ণধার অনির্বাণ দাসের। অভিযোগ, চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ঘর ছাড়ছিলেন না তিনি। গুদামের মালিককে মারধর ও নিরাপত্তা রক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখান অনির্বাণ। মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। (Barrackpore News)
সেই ঘটনায় D বাপি বিরিয়ানির অন্যতম মালিক ও তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু'-দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসাত আদালত। অনির্বাণের নিরাপত্তারক্ষীর খোঁজ চলছে।
মধ্যমগ্রাম-সোদপুর রোডে অবস্থিত ডি বাপি বিরিয়ানি রেস্তরাঁ। বাদামতলায় তাদের একটি গুদামও রয়েছে। এক বাড়ি মালিকের থেকে গুদামটি ভাড়া নেন অনির্বাণ। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধেবেলা গুদামের মালিক অনির্বাণের সঙ্গে দেখা করতে যান। জানান, ১১ মাসের মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। এবার বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে।
সেই কথাবার্তা বচসার আকার ধারণ করে। সেই সময় অনির্বাণ বাড়ির মালিকের উপর চড়াও হন এবং রেস্তরাঁর কর্মীরাও তেড়ে আসেন বলে অভিযোগ। অনির্বাণের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সেই অস্ত্র উঁচিয়েই বাড়ির মালিককে ভয় দেখানো হয় এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সোমবার রাতেই মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ জানান বাড়ির মালিক। আর রাতেই অনির্বাণকে গ্রেফতার করে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। গতকাল বারাসাত আদালতে তোলা হয়েছিল অনির্বাণকে। তাঁকে দু'দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। যদিও অনির্বাণের স্ত্রীর দাবি, মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। বচসা হয়েছে। মারধর সেভাবে করা হয়নি, দেখানো হয়নি আগ্নেয়াস্ত্রও। রেস্তরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ তিনি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন।
অনির্বাণ রেস্তরাঁর অন্যতম কর্ণধার হওয়ার পাশাপাশি, মোহনপুরের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের সদস্যও। তাঁর গ্রেফতারিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, যে বাড়ির মালিককে অনির্বা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ, তাঁর ভাইও মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দত্ত। তাঁর দাবি, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তাঁর দাদার উপর অত্যাচার চালান অনির্বাণ। তাই থানার যান তিনি। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রামের বিধায়ককেও জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দীপঙ্কর।