কলকাতা: ডিএ (DA) নিয়ে শোরগোল বাড়ছে রাজ্য (West Bengal)-রাজনীতিতে (Politics)। ডিএ আন্দোলনে সরকারি কর্মচারীদের (Govt Emplyoees) বিধানসভা অভিযানে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। যা নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরপর ধৃত ডিএ আন্দোলনকারীদের জামিনের আবেদন জমা পড়েছে আদালতে। ‘ডিএ আন্দোলনে গতকাল হাইকোর্টের কয়েকজন কর্মী গ্রেফতার’, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay)। 


প্রসঙ্গত, আজ ধৃত সরকারি কর্মীদের আদালতে তোলা হয়। ডিএ আন্দোলনে সরকারি কর্মচারীদের বিধানসভা অভিযানে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। ধৃত ৪৭ জনকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবেদন জানানো হয়। 


তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারা - কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে কাজে বাধা, ৩২৩ ধারা - পুলিশকর্মীকে মারধর, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারা - হিংসা ছড়ানো, ৫০৯ ধারা - মহিলা পুলিশকর্মীকে উদ্দেশ্য করে অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও কটূক্তি এবং ৫০৬ ধারা - হুমকি, এই সমস্ত জামিন অযোগ্য ধারায় ডিএ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সবাইকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। শুধু ব্যাঙ্কশাল কোর্টই নয়, আন্দোলনের আঁচ ধরা পড়েছে কলকাতা পুরসভাতেও। সেখানেও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।                                                             


আরও পড়ুন, ‘ডিএ দেবে না, আন্দোলনও করতে দেবে না?’, আন্দোলনকারীদের হয়ে সওয়াল বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'মানুষের দাবি কেড়ে নিতে পারে না কোনও সরকার। আমরা আন্দোলনকারীদের পক্ষে।' অন্যদিকে, ধৃত ডিএ আন্দোলনকারীদের হয়ে সওয়াল করেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা অভাবনীয়। পুলিশ ছেড়ে দেবে বলেছিল, কিন্তু তারপরেও ছাড়েনি। আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে, নাকি অন্য কিছু করেছে? কলকাতায় ১৪৪ ধারা হামেশাই ভাঙে। কী দোষ এদের? হেফাজতে রাখার কী যুক্তি? ডিএ দেবে না, আন্দোলনও করতে দেবে না? এদের জামিন দেওয়া হোক’।                                            


এও বলা হয়, ‘হাইকোর্টে কোনও কাজ হচ্ছে না। কারণ আন্দোলনকারীদের অনেকে হাইকোর্টের কর্মী'। ধৃত ডিএ আন্দোলনকারীদের হয়ে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর। তিনি এও বলেন, ‘তদন্তকারী অফিসার পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছেন। কোনও ফ্যাক্টে যাচ্ছি না, সরকারের বক্তব্য লিখিত আকারে জানানো হয়েছে’। আদালতে পাল্টা সওয়াল সরকারি আইনজীবীর। এদিকে, সওয়াল-জবাব শেষ হয়েছে। তবে এ বিষয়ে রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারক।