কলকাতা: রাজ্যে বাজেটে অর্থ প্রতিমন্ত্রী  চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন যে ৩ শতাংশ ডিয়ারনেস অ্যালাউয়েন্স, মহার্ঘ ভাতা আগামী মার্চ থেকে লাগু করা হবে। কিন্তু, তাতে সরকারি কর্মীদের একাংশের অসন্তোষ কমেনি। বরং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে পথেও নেমেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা।


প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণার পরও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক ৩২ শতাংশ। এই প্রেক্ষাপটে আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীদের একাংশ। শুক্রবার বিকেলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান-অনশন মঞ্চে। গিয়ে ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারের তুলোধোনা করেন। 


বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'অন্যান্য স্টেটের সরকার যদি দিতে পারে, তাহলে এখানকার সরকার দিতে পারবে না কেন। এটা হকের লড়াই। ডিএ দিতেই হবে।


অন্যদিকে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'মূল্যবৃদ্ধি হলে মহার্ঘ ভাতা হয়, এটা লড়াই করে আদায় করা হয়েছে। কিন্তু এই সরকার সেটাকে মানছে না। এটা থামবে না। এই  লড়াই আরও তীব্র হবে। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় হয়েছে। এরপর আবার জেলায় হবে, মহকুমাস্তরে হবে, ব্লকস্তরে হবে। আমরা এদের সঙ্গে আছি।'                                                                


আরও পড়ুন, ফেব্রুয়ারিতেই ৩০ ডিগ্রি ছাড়াবে তাপমাত্রা? শিবরাত্রির দিনে ফের ঊর্ধ্বমুখী পারদ


বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের মুখে, শুক্রবারও ডিএ প্রসঙ্গে ফের মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি তো ম্যাজিসিয়ন নই। যে টাকা দাও বললেই হঠাৎ গুপী গাইন বাঘা বাইনের মতো মিষ্টি চলে এল, টাকা চলে এল। টাকাটা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩% DA আমরা দিয়েছি।' 


এদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি, সমস্ত সরকারি অফিসে, পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই প্রেক্ষাপটেই ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ লেখেন, ২০-২১ না এলে, ২২শে বাড়িতেই থাকুন। উদয়ন গুহ বলেন, 'মাইনে নিচ্ছে কাজ করছে না, ৩৪ বছর কিছু করেনি।' মন্ত্রীর এই প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিয়েছে বিরোধীরা।


আপাতত ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী ১৫ মার্চ তার শুনানি হওয়ার কথা। তার আগে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ডিএ ইস্যুতে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ।