কলকাতা: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দুদিনের কর্মবিরতির পর এবার ৯ মার্চ সরকারি কার্যালয়ে বনধের ডাক। কো অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বৈঠকে সিদ্ধান্ত। আগামী ৯ মার্চ জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তবে ধর্মঘটের দিন বদল করা হল। জানা গিয়েছে, ৯ মার্চের পরিবর্তে ১০ মার্চ হবে ধর্মঘট।


বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ সরকারি কার্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক। ৯ মার্চ মাদ্রাসার পরীক্ষা থাকায় সিদ্ধান্ত বদল। ৯ মার্চ নয় সরকারি কার্যালয়ে ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক। জরুরি পরিষেবায় ছাড়। সরকারি অফিস, আদালত, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক।রাজ্য সরকারকে নোটিস দেওয়া হবে, জানাল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।


এর মধ্যে থাকছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। কিন্তু সেদিন মাধ্যমিকের পরীক্ষা থাকায় জটিলতার সম্ভাবনা। যদিও এখনও পরীক্ষার দিন বদলের কোনও চিন্তা-ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে পর্ষদ। অন্যদিকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তেও অটল আন্দোলনকারীরা।  বকেয়া DA-র দাবিতে অনশনের আজ ১৩ তম দিন। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে বুধবার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সমস্ত দফতরে ধিক্কার দিবস পালন করেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।  শহিদ মিনারের সামনে বকেয়া DA-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন এদিন ২৭ দিনে পড়ল। 


মহার্ঘভাতা নিয়ে সরাসরি সংঘাতের পথে হাঁটছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। ১০ মার্চ সরকারি কার্যালয় বন্ধ রাখার ডাকও দিয়েছেন তাঁরা। সেই আবহে মুখ খুললেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ তথা অভিজ্ঞ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমহারে যেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মহার্ঘভাতা চাইছেন, তাহলে রাজ্যের বিধায়করা কেন কেন্দ্রীয় হারে ভাতা পাবেন না (DA Protests), পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ (Calcutta High Court)। 


মহার্ঘভাতা নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে, তার মধ্যেই মন্তব্য কল্যাণের


বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে জমি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য ছিল, "সমহারে ডিএ চাইছেন সরকারি কর্মীরা। তাহলে রাজ্যের বিধায়করা কেন্দ্রীয় হারে ভাতা পাবেন না? সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতো, হাইকোর্টের বিচারপতিরা কি সমহারে ডিএ পাবেন?"


মহার্ঘভাতা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের সংঘাত নিয়ে আদালতে মন্তব্য করলেও, এ নিয়ে রাজ্যের সরকারকে যদিও কোনও রকম শলা-পরামর্শ দিতে নারাজ কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, "রাজ্যের এখন অনেক বড় বড় আইনজীবী রয়েছেন। জানি না কেন, তাঁদের বুদ্ধিতে এটা আসেনি।" রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সাংসদ কল্যাণ। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।