অণির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : বকেয়া ডি-এর (DA Agitation) দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণের পথে হাঁটছেন আন্দোলনকারীরা। ধর্মঘটের পর এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ডিজিটাল নন-কো অপারেশন (Digital Non Co-Operation) করবেন বলে জানিয়ে মুখ্যসচিব (Chief Secretary) ও শিক্ষাসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। 


বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ


বকেয়া ডিএর দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ ক্রমেই চড়ছে। আগেই ডিজিটাল নন-কোঅপারেশনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন আন্দোলনকারীরা (DA Agitators)। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে মুখ্যসচিব ও শিক্ষাসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ১৮ মার্চ থেকেই ডিজিটাল নন-কোঅপারেশনের পথে হাঁটবেন সরকারি কর্মীরা। 


কী কী পদক্ষেপের ভাবনা


বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে (Whatsapp Group) আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না তাঁরা। ব্যক্তিগত মোবাইল (Mobile), ল্যাপটপেও (Laptop) ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করা হবে না। কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিসিয়াল মেল মারফত জানাতে হবে এবং সরকারি অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজ করবেন না কর্মীরা। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছেন, 'শিক্ষা দফতর এতে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হবে।'


জারি আন্দোলন


শহিদ মিনার চত্বরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান ৪৮ দিনে পড়ল। ৩৪ দিন ধরে চলছে অনশন আন্দোলন। এর মধ্যেই বুধবার DA ধর্নামঞ্চে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনকারী ভাস্কর ঘোষ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও ধর্নামঞ্চ ছেড়ে যেতে চাননি তিনি। এদিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঝড় ঝাপটা থেকে বাঁচতে তাই নতুন করে মঞ্চ বাঁধছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা দু'দিন সরকারি দফতরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। গত শুক্রবারও কর্মবিরতিতে সামিল হন সরকারি কর্মীদের একাংশ। এবার ডিজিটাল নন-কোঅপারেশনের পথে হাঁটতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা।


আরও পড়ুন- DA নিয়ে আন্দোলন, অথচ বেলা ১২টাতেও দেখা নেই! নবান্নে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী


এদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবি নিয়ে বর্তমানে সরকারের সঙ্গে কার্যত সংঘাত চলছে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের। এই অবস্থায় স্বরাষ্ট্র দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর সারপ্রাইজ ভিজিট এবং কর্মীদের সময়ে এসে না পৌঁছনোয় ক্ষোভপ্রকাশ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নবান্নে সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যে। আগামী ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর, অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য় সম্মেলন। তার আগে বুধবার নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক ছিল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামীদিনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কলকাতায় নিজেদের দফতর করছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। প্রায় দেড় হাজার কোটি বিনিয়োগ করছে তারা।