সুমন ঘড়াই, কলকাতা: অতিমারিতে সচেতনতা তৈরি করতে আচমকা হাজির হয়েছিলেন বাজারে। খড়ি দিয়ে বৃত্ত এঁকে বুঝিয়েছিলেন সামাজিক দূরত্ব বিধি। এ বার নবান্নেই সারপ্রাইজ ভিজিটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নে ঢুকে সটান স্বরাষ্ট্র দফতরে চলে যান তিনি। সেখানে কর্মীদের অনুপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Nabanna)।
এ দিন লিফট থেকে হঠাৎ চারতলায় নেমে পড়েন মমতা
বুধবার নবান্নে শিল্পপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই উপলক্ষে নবান্নে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। ঘড়িতে তখন বেলা ১২টা বেজে ০৫ মিনিট। কিন্তু রোজকার মতো ১৪ তলায় না গিয়ে, এ দিন লিফট থেকে হঠাৎ চারতলায় নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। ভিতরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী দেখেন, তখনও সিংহভাগ কর্মী অনুপস্থিতি। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এমনিতেই ১০ মার্চ, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে শামিল, অনুপস্থিত কর্মীদের বিরুদ্ধে শোকজের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নবান্ন। সেই আবহেই এ দিন
নবান্নে স্বরাষ্ট্র দফতরে সারপ্রাইজ ভিজিটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও সিংহভাগ কর্মী উপস্থিত না হওয়ায়, চেয়ার টেবিল ফাঁকা দেখে ক্ষুব্ধ হন তিনি।
আরও পড়ুন: Kolkata News: মাটির নিচে চাপা পড়ছিল ইতিহাস, শহরে উদ্ধার সিরাজের জোড়া কামান
নবান্ন সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্মীদের অনুপস্থিতি দেখে বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন করেন, "এত বেলা হয়েছে। এখনও আসেনি কেন? এরা কোথায়?" তাতে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্মী বলেন, এখন তো ১২.১০। সবাই এখনও এসে পৌঁছয়নি। এর পরই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকা এক অফিসারকে নির্দেশ দেন, "যাঁরা এখনও আসেননি, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করুন।" অন্য এক অফিসারকে ফাঁকা টেবিল চেয়ারগুলির ছবি তুলতে বলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, এ দিন মিনিট ছয়েক চার তলার স্বরাষ্ট্র দফতরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর লিফটে ১৪ তলায় নিজের চেম্বারে চলে যান।
কর্মীদের সময়ে এসে না পৌঁছনোয় ক্ষোভপ্রকাশ মমতার
বকেয়া ডিএ-র দাবি নিয়ে বর্তমানে সরকারের সঙ্গে কার্যত সংঘাত চলছে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের। এই অবস্থায় স্বরাষ্ট্র দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর সারপ্রাইজ ভিজিট এবং কর্মীদের সময়ে এসে না পৌঁছনোয় ক্ষোভপ্রকাশ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নবান্নে সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যে।
আগামী ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর, অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য় সম্মেলন। তার আগে এ দিন নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক ছিল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামীদিনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কলকাতায় নিজেদের দফতর করছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। প্রায় দেড় হাজার কোটি বিনিয়োগ করছে তারা।