নয়াদিল্লি : ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। আগামী ১১ এপ্রিল হবে মামলার শুনানি। এর আগেও একাধিকবার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি  বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের এজলাসে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। কিন্তু শুনানির শুরুতেই বিচারপতিরা জানান  রাজ্যের DA আবেদনে ত্রুটি রয়েছে। সেই আবেদন আগে সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেন তাঁরা। জানুয়ারি মাস থেকে এই মামলা ক্রমেই পিছিয়ে চলেছে। 

৪০ দিনে পড়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনশন


১৫ ফেব্রুয়ারি, বাজেট পেশের দিন রাজ্য সরকার, আরও ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধির ঘোষণার পর, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক দাঁড়িয়েছে ৩২ শতাংশ। বকেয়া ডিএর দাবিতে ৫৪ দিনে পড়ল শহিদ মিনার চত্বরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অবস্থান আন্দোলন। ৪০ দিনে পড়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনশন কর্মসূচি। এই প্রেক্ষাপটেই বারবার মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার পর আজ ফের ডিএ মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু এদিনও পিছিয়ে গেল শুনানি। 


ঘটনাক্রম


গত বছরের ২০ মে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়,৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে। রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও ২২ সেপ্টেম্বর তা খারিজ করে দেয় আদালত। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৪ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। 


এদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চের ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের বেতন কাটার নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে সরকারের তরফে।                                             


 পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী যে DA-র ফারাক ছিল, তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায়, গত ২০মে , কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে। রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও ২২ সেপ্টেম্বর তা খারিজ করে দেয় আদালত। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৪ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি বারবার পিছিয়ে যায়। মামলা ছাড়েন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ । তারপর বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে বকেয়া DA মামলাটি শোনা হয়।