কলকাতা: বকেয়া DA-সহ চার দফা দাবিতে রাজ্যজুড়ে ২ দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আজ ও কাল কর্মবিরতি পালন করবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government employees)। এ নিয়ে পঞ্চমবার কর্মবিরতির ডাক দিলেন DA-আন্দোলনকারীরা (DA Protesters)।


যে চারটি দাবিতে তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সেগুলি হল, কেন্দ্রীয় হারে DA, রাজ্য সরকারি অফিসে শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ, প্রতিহিংসামূলক বদলি অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং যোগ্য অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ।বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে ২৫৭ দিন ধরে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। 


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি DA-আন্দোলনের আবহে নবান্নের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক (DA Protests) তৈরি হয়। প্রতিবাদ জানিয়ে মহাকরণে বিক্ষোভ দেখায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারি কর্মীদের অধিকার হরণের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, এমনই অভিযোগ করে DA আন্দোলনকারীরা (Nabanna Notifications)। বকেয়া DA-এর দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের লাগাতার আন্দোলনের আবহে, সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার।


এর মধ্যে প্রথমটিতে বলা হয়, সোমবার পেন ডাউন কর্মসূচিতে শামিল হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, টিফিন টাইমে অফিসের বাইরে গিয়ে অন্য কোনও কাজ করতে পারবেন না সরকারি কর্মীরা। এই বিজ্ঞপ্তির তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ প্রশ্ন তোলে, পেন ডাউনের যে কর্মসূচি ঘোষণাই হয়নি, তার প্রেক্ষিতে কী করে বিজ্ঞপ্তি জারি হল? প্রতিবাদে  মহাকরণে বিক্ষোভ দেখান রাজ্য সরকারি কর্মীরা।


আরও পড়ুন, অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লি রওনা, আজ শাহি বৈঠকে রাজ্যপাল



 প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরু তখন। ফেব্রুয়ারি মাস। এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীদের একজন তখনই বলেছিলেন, 'আন্দোলন যেমন চলছে, তেমনই চলবে। এর তীব্রতা আরও বাড়বে। প্রতিবাদে কর্মবিরতি ডাকব। এটা মানছি না আমরা। প্রতিবাদ চলবে। উনি যেটা ভেবেছেন, সেই পরিস্থিতি নেই আর। সরকারের যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। আনপ্ল্যান্ড খাতে কত বরাদ্দ হয়েছে দেখেছেন। টাকা দিতেই হবে। আন্দোলন চালিয়ে যাব আমরা' আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্য এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়,  এতদিন বলছিলেন, মামলা চলছে, তাই দেওয়া যাবে না। এখন কী হল। কী ঘরে ঘোষণা করলেন। হাস্যকর কাজকর্ম করে আর ছোট করবেন না রাজ্যবাসীকে। আপনি বাঙালি জাতির লজ্জা।'