কলকাতা:  নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্নার আজ দ্বিতীয় দিন। ধর্নায় অনড় ডিএ আন্দোলনকারীর দল। হাইকোর্টের নির্দেশে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে ধর্না। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বকেয়া ডিএ-বঞ্চনার অভিযোগে উঠছে স্লোগান। বৃহস্পতিবার আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। এর ফলে কেন্দ্র-রাজ্য় DA-র ফারাক দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। প্রতিবাদে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে গতকাল থেকে ধর্নায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। 


মূলত গতকল ভোর থেকেই আন্দোলনকারীরা নবান্নের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে নেমে নানা বাধার সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ। ধৈয্যের বাধ ভাঙে যখন, তাঁরা দেখতে পান, আশেপাশের সকল খাবারের দোকান বন্ধ। এবং নিকর্টবর্তী শৌচাগারগুলিও ব্যবহার করতে যাতে না পারা যায়, সেজন্য শৌচাগারগুলিকেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে ধর্নায় বসে খাবারের দরকার পড়ে। তার উপর অন্যতম প্রয়োজনীয় শৌচাগার। সেটিও ব্যবহার করতে না দেওয়ার কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন আন্দোলনকারীরা। যদিও বেলা গড়াতেই গোটা পরিস্থিতি বদল হয়। কারণ ততক্ষণে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বিকাল চারটে পর্যন্ত ধর্নার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।


বৃহস্পতিবারই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, নবান্ন বাসস্ট্য়ান্ডে DA আন্দোলনকারীরা অবস্থান করতে পারবেন। কিন্তু, ৩০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। অবস্থানের প্রভাব যেন জাতীয় সড়কে যান চলাচলের ওপর না পড়ে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে অবস্থান আন্দোলন করতে হবে। রাতেও ধর্নাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছলেন তাঁরা। তখনই  পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে অনড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা শুক্রবার কাক ভোরেই পৌঁছে যান নবান্নর কাছাকাছি। এরপর পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের। এর ফলে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে নবান্নর দিকে যাওয়ার রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে যায় গতকাল।  


আরও পড়ুন, পেট্রোলের দর বাড়ল দেশের এই শহরগুলিতে, কলকাতায় কত ? 


এদিকে, DA-র দাবিতে ক্রমশ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে রাজ্য় সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে একটানা ৩২৯ দিন ধরে চলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান-আন্দোলন। নবান্নের সামনে ধর্না কর্মসূচির দাবিকে শর্তসাপেক্ষে সম্মতি জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই আবহেই লক্ষ্মীবারে রাজ্য় সরকারি কর্মীদের জন্য় ৪ শতাংশ DA ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, ' আমাদের পে কমিশন আছে, এটা আমরা এক্সট্রা দিই। আমাদের কাছে এটা বাধ্য়তামূলক নয়, এটা অপশন। তা সত্ত্বেও আমরা দিয়ে যাই।'