মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট: নির্বাচনের ময়দানে পরস্পরের প্রতিপক্ষ তাঁরা (Lok Sabha Election 2019)। কিন্তু একজনের অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে গেলেন অন্য জন। বালুরঘাটে (Balurghat New) এমনই রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির উঠে এল। বর্ষীয়ান আরএসপি (RSP) নেতা বিমল সরকার (Bimal Sarkar) অসুস্থ । তাঁকে দেখতে ছুটে গেলেন বিজেপি-র (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর বাড়িতে কাটালেন বেশ কিছুটা সময়। বসল চায়ের আসরও।
বালুরঘাট থেকে রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির উঠে এল
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে আরএসপি-র বর্ষীয়ান নেতা বিমল সরকার। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সুকান্তর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন বিমলবাবু। বেশ কিছু দিন ধরেই শরীর ভাল যাচ্ছে না তাঁর। সম্প্রতি পরিস্থিতির অবনতি হয় আরও। সেই খবর পেয়েই ছুটে গেলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপি-র সুকান্ত।
দুই দলের তরফে এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। সান্ধ্যকালীন সেই সাক্ষাতে বসে চায়ের আসরও। আলোচনা, কথা চলে বেশ কিছু ক্ষণ। সুকান্ত এবং তাঁর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিমলবাবু। তিনি জানান, বালুরঘাট আগাগোড়া সাংস্কৃতিক শহর হিসেবেই পরিচিত।
তাই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ, একে অপরের খোঁজ নেওয়া, বালুরঘাটে কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় বলে জানান বিমলবাবু। তাঁর সঙ্গে একমত সুকান্তও। বিমলবাবুকে দেখতে যাওয়া সৌজন্য বলে জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, বিমলবাবু অসুস্থ জানতে পেরেই ছুটে এসেছিলেন। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সংযোগ নেই।
দুই দলের তরফে এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতির পারদ যখন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, সেই সময় এই সৌজন্য সাক্ষাৎ নজির হয়ে থাকল বলে মনে করছেন বালুরঘাটের সাধারণ মানুষও।
তবে বালুরঘাটে রাজনৈতিক সৌজন্য চোখে পড়লেও, রাজ্য রাজনীতিতে কটাক্ষের ফুলঝুরি ছুটছে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এ দিন তৃণমূলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিএম-এর সুশান্ত ঘোষ। শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, "চামড়া উঠে যাবে। টাকা নিয়েছে, ফেরত দিতে হবে অনেক টাকা নিয়েছে। ফেরত দিতে হবে।" আবার সিপিএম নেতা সুশান্ত বলেন, "গ্রামে যারা চুরি করে সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছে, তাদের গলায় গামছা দিয়ে পঞ্চায়েতের পর টাকা আদায় করব।"