মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: নভেম্বরে জন্ম। মাত্র ৪ মাসের মাথায় পাহাড়ে জয়ধ্বজা উড়িয়েছে হামরো পার্টি। এবার সেই হামরো পার্টির সঙ্গেই পাহাড়ে জোট গড়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করল কংগ্রেস। যদিও, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আগ্রহ দেখাননি হামরো প্রধান। 


পুরভোটের ফলে বিজেপি, তৃণমূল, মোর্চাকে টেক্কা দিয়ে দার্জিলিংয়ের ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই জয়ী হয়েছে হামরো পার্টি। এবার পাহাড়ে পুরসভা দখলের লড়াইয়ে নামেনি কংগ্রেস। হামরো পার্টির আচমকা উত্থানে তাদের সঙ্গে আগামী পুরভোটে ময়দানে নামার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন দার্জিলিঙের কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার।                                                                            


দার্জিলিং কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, "চোখ খুলে দিয়েছে। আগামী পুরসভা নির্বাচনে হামরো পার্টির সঙ্গে জোট করতে চেয়ে কথা বলব। পাহাড় বিমল গুরুং, ঘিসিং অনেককে দেখেছে। এখন হামরো পার্টিকে চাইছে। কংগ্রেস মানুষের জন্য কাজ করে। কংগ্রেসের আমলে পাহাড়ে উন্নয়ন হয়েছে।" 


দার্জিলিং হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, "জোট করতে চাই না। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস যেকারও সঙ্গে করতে পারে।" পুরসভার দখল নিতেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো দলে। রবিবার, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয়পন্থী নেতা যোগ দেন হামরো পার্টিতে।  পুলিশের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা চলছে। যদিও এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ হামরো পার্টির প্রধান।                      


দার্জিলিংয়ের হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, "বিভিন্ন লোক জয়েন করছে। পাপী লোকও ভালো হতে পারে। ভালো লোকও খারাপ হতে পারে।" গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বলেন, "সঞ্জয় আমাদের দলে ছিল না। যে কেউ যে কোনও দলে যেতে পারে। দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।" সবমিলিয়ে, আগামী দিনে কার সঙ্গে জোট গড়ে হামরো পার্টি, সেটাই এখন দেখার।