বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: তালিবানের দখলে কাবুল। অশান্ত আফগানিস্তান। আর সেই অশান্তির আঁচ লেগেছে ভারতের বাণিজ্যে। সে দেশে রফতানি বন্ধ হওয়ায় এবার সিঁদূরে মেঘ দেখছেন উত্তরবঙ্গে চা ব্যবসায়ীরা। দেখা দিয়েছে মোটা অঙ্কের ক্ষতির আশঙ্কা।
প্রভাব এবার ভারত-আফগানিস্তান বাণিজ্যে। আফগানিস্তানের বাদাম, আখরোট, পেস্তা, মশলা যেমন এদেশে আসে, তেমনই এ রাজ্যের চা যায় সে দেশে। তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই বন্ধ আমদানি। ফলে এদেশে, দাম বেড়েছে ড্রাই ফ্রুটসের। অন্য দিকে, রফতানি বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে উত্তরবঙ্গের চা- শিল্প।
তরাই ইন্ডিয়ান প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহেন্দ্রপ্রসাদ বনশল জানান, আফগানিস্তান দখলের পর এক্সপোর্ট, ইমপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। বড় অঙ্কের রপ্তানি হত চা। আগামী দিনে কী হবে বোঝা যাচ্ছে না।
টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে,উত্তরবঙ্গ থেকে ২০১৯-২০ সালে আফগানিস্তানে চা রফতানি হয়েছে ২১ লক্ষ ৭০ হাজার কেজির বেশি। চা রফতানি বন্ধ থাকায় ক্ষতির অঙ্ক ছাড়াতে পারে ২৭ কোটি। করোনা আবহে এমনিতেই ক্ষতি হয়েছে চা ব্যবসার। তারপর এবার বন্ধ রফতানি। এই পরিস্থিতিতে টি-বোর্ডের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্মচাপ, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে
টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, আফগানিস্তানে প্রচুর চা যেত। বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড় ক্ষতি হবে। আমরা দাবি করছি টি-বোর্ড ভর্তুকি দিক। কবে ফের শুরু হবে বাণিজ্য, অপেক্ষায় দুই দেশের মানুষই।
এদিকে, আফগানিস্তানের দখল হাতে নিয়েই তালিবানদের ফতোয়া, ভারতের সঙ্গে আপাতত কোনও ব্যবসা-বাণিজ্য বা লেনদেন হবে না তাদের। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এমন অনেক কিছুই যা কি না ভারত, আফগানিস্তান থেকে আমদানি করে থাকে, সেই ধরনের পণ্যগুলোর দাম ঊর্ধ্বমুখী। ভারত, আফগানিস্তানকে অনেক কিছুই রফতানি করে থাকে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণে চিনি, চা, কফি, পোশাক, ওষুধ, বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, চেরি ফল, তরমুজ প্রভৃতি জিনিস আফগানিস্তানকে বছরভর রফতানি করে ভারত।