উমেশ তামাঙ্গ, কালিম্পং:  আবার ধস নামল কালিম্পং জেলার উনতিরিশ মাইল এলাকায়। তার জেরে গতকাল রাত থেকে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পূর্ত দফতরের তরফে রাস্তা সারানোর কাজ চলছে।


শেষ ভাদ্রেও বৃষ্টির দাপট।  ঘনঘন ধস নামছে পাহাড়ে।  সোমবার রাতে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই কালিম্পং জেলার ২৯ মাইল এলাকায় ধস নামতে শুরু করে।  তার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। 


কালিম্পং ও সিকিমের সঙ্গে শিলিগুড়ির সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এক বাসচালক জানান, ধসের কারণে রাত থেকে আটকে। বৃষ্টি বেশি হলেই ধসে এধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। সরকার স্থায়ী সমাধানের জন্য কিছু করলে ভাল হয়।


সিকিম-কালিম্পং-শিলিগুড়ির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থায় লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত।  জেসিবি মেসিনের সাহায্যে ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছে পূর্ত দফতর। 


সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই নিয়ে তিনবার ধস দেখল কালিম্পংবাসী। শুক্রবার কালিম্পঙের কাটারে এলাকায় ধসে মাটির বাড়ি চাপা পড়ে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। 


তার তিনদিনের মাথায় সোমবার ভোরে ২৯ মাইলের কাছে জাতীয় সড়কে ধস নামে। সোমবার রাতে আবার ধস নামল উনতরিশ মাইল এলাকায়। 


২৯ মাইলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একপাশে রয়েছে পাহাড়। আরেক পাশে নিচ দিয়ে বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা তিস্তা নদী। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় পাহাড়ের ওপর জলের উৎস থাকায় মাটি এমনিতেই নরম। 


৩-৪ দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে সেই নরম মাটি আরও নরম হয়ে যাওয়ায় ঘনঘন ধস নামছে। এমনটাই মনে করছেন পাহাড়বাসীদের একাংশ।


পূর্ত দফতরের হাইওয়ে ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুবোধ ছেত্রী বলেন, ন্যাচারাল ক্যালামিটির জন্য পাহাড় ওপর থেকে ভেঙে পড়ছে। তার জন্য বারবার ধস নামছে। কলকাতা থেকে পূর্ত দফতরের অফিসাররাও এসে দেখে গিয়েছেন। বৃষ্টি থামলে ধস প্রতিরোধক কাজ শুরু হবে।


বর্ষার মরশুম চলে যাওয়ার পর, জাতীয় সড়কের ধারে পাহাড়ের গা ঘেঁষে ধস প্রতিরোধক দেওয়াল কত দ্রুত তৈরি হয়, এখন সেটাই দেখার।